ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের মাদারগঞ্জ গরু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ ! কুষ্টিয়ায় কুলখানি নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে’ ঢাকায় ডোনাল্ড লু অবশেষে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক, বন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিমলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি ছাই মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই: এমপি বাদশা র‌্যাব-১২, অভিযানে সিরাজগঞ্জে ৫৪ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ডাসারে দিনমজুর মানুষের মাঝে ছাতা,গ্লুকোজ, স্যালাইন ও পানির পট বিতরণ

মোটরবাইকের জন্য ৫ টি সেরা ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড

MD JAHANGIR RAZIB RAZU
  • আপডেট সময় : ১২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

মোটরবাইকের জন্য ৫ টি সেরা ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড

ইঞ্জিন অয়েল এমন একটি তরল লুব্রিকেন্ট যা ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা সকল পার্টসকে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। বাইক চলাকালীন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে যেন অতিরিক্ত ঘর্ষণ সৃষ্টি না হয় এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা।

দেশের রাস্তা, তাপমাত্রা, ট্রাফিক জ্যাম ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল (মিনারেল) ৮০০-১০০০ কিলো এর মধ্যে, আর যদি ইঞ্জিন অয়েল সিস্থেটিক হয় তাহলে ২০০০-২৫০০ কিলো ব্যবহার করে পর পরিবর্তন জরুরী। তবে ৫০০ কিলো চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল একবার চেক, তার উপর বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশে বিখ্যাত কিছু ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। আমরা সাধারণত রিলায়েবিলিটি, পারফরম্যান্স, বাইকের ধরণ, এবং বাইকের কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড সিলেক্ট করি। এই অয়েলের প্রধান কাজ হল ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ক্ষয় রোধ করা।

মোটরবাইকের ইঞ্জিন অয়েল হলো এক ধরনের পুরু তেল, যা মোটর অয়েল, ইঞ্জিন লুব্রিক্যান্ট, ইঞ্জিন লুব অয়েল ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এটি ইঞ্জিনের ইন্টারনাল কম্বুশন, লুব্রিকেন্ট বা তৈলাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থের মিশ্রণ। এটি ব্যবহার না করলে উচ্চ তাপ এবং ঘর্ষণ জনিত কারণে ইঞ্জিনের ক্ষয় হয়, পারফরম্যান্স কমতে থাকে। ইঞ্জিন অয়েল তাপমাত্রাকে সর্বত্র বা কুলিং রেডিয়েটারে সমানভাবে বিতরণ করে এবং ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীন মেটাল ফ্রিকশন কমিয়ে দেয়।

ইফেক্টিভনেস, কোয়ালিটি, মার্কেট ডিমান্ড এবং ব্র্যান্ড ইমেজ বিবেচনা করে বাংলাদেশের মার্কেটে এভেইলেবল সেরা ৫টি ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ডগুলো হলো :-Motul (মটুল),Castrol (ক্যাস্ট্রল)
MOBIL (মবিল)
Shell (শেল)
Liqui Moly (লিকুই মলি)।

🔴 Motul (মটুল)

মটুল ব্র্যান্ডের লুব্রিকেন্ট অয়েল, হাই-পারফর্মিং মোটরসাইকেল ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অফরোড এবং ট্র্যাক, উভয় রোডের জন্য এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল খুবই কার্যকর। এই ব্র্যান্ডের অয়েল উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ সহ্য করার জন্য বিশেষ ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে, যা চমৎকার লুব্রিকেশন এবং ইঞ্জিন সুরক্ষা প্রদান করে। ইঞ্জিন পাওয়ার এবং ক্যাপাসিটি স্বাভাবিক রাখার জন্য এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল অতুলনীয়।

এই ব্র্যান্ডের সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। এটি প্রায় সকল প্রকার যানবাহনের ইঞ্জিন অয়েল সহ অন্যান্য লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে এটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

🔤 ভালো দিক – মটুল মূলত স্পোর্টস এবং হাই-কনফিগারেশন বাইকের জন্য রিকমেন্ড করা হয়
🔤 মন্দ দিক – কমিউটার সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের জন্য এটি পারফেক্ট নাও হতে পারে।

🔴 Castrol (ক্যাস্ট্রল)

মোটরসাইকেলের জন্য মানসম্পন্ন লুব্রিকেন্টের জন্য ক্যাস্ট্রলের রিলায়েবিলিটি অতুলনীয়। এটি একটি ব্রিটিশ লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, তারা প্রায় সকল প্রকারের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ও বিভিন্ন লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। এই ব্র্যান্ড দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে। এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল কমিউটার বাইক থেকে হাই-পারফর্মিং স্পোর্টস বাইক পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশে কমিউটার বাইক ব্যবহারকারী বেশি হওয়ায়, বাইকারদের একটি বড় অংশ Castrol ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।

🔤 ভালো দিক – সাশ্রয়ে মূল্যে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট
🔤 মন্দ দিক – নকল পণ্য থাকায় সতর্ক থাকতে হয়।

🔴 MOBIL (মবিল)

মবিল ব্র্যান্ড সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলের জন্য বিখ্যাত। এটি সারা বিশ্বে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এই ব্র্যান্ডের অয়েল, প্রচলিত তেলের তুলনায় উন্নত সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা প্রদান করে। এই ব্র্যান্ড স্পেসিফিক বাইক মডেলের জন্য স্পেসিফিক ফর্মুলেটেড লুব্রিকেন্ট উৎপাদন করে থাকে, তাই ইঞ্জিনের পরিচ্ছন্নতা এবং লং লাস্টিং পারফরম্যান্স বজায় থাকে। এটি একটি আমেরিকান ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানি। এটি বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেক সাধারন মানুষ ইঞ্জিন অয়েলকে মবিল বলে সম্মধন করেন।

🔤 ভালো দিক – এভেইলেবল এবং সাশ্রয়ী মূল্যে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট
🔤 মন্দ দিক – গ্রিন হাউস গ্যাস ইমিশন কিছুটা বেশি।

🔴 Shell (শেল)

শেল ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল উন্নত ফর্মুলেশনের জন্য পরিচিত, যা ঘর্ষণ কমাতে এবং ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ব্র্যান্ড বিভিন্ন পরিসরের ইঞ্জিন অয়েল সরবরাহ করে থাকে, যা রাইডার এবং বাইকের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা। এই ব্র্যান্ড পণ্যের গুণগত মানের কারনে বিশ্বব্যাপি পরিচিত। এটি বেশ সাশ্রয়ী দামে প্রায় সকল ধরনের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ও লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। বাংলাদেশে, Ranks Petroleum Ltd হল শেল ইঞ্জিন অয়েলের পরিবেশক।

🔤 ভালো দিক – সাশ্রয়ী মূল্য এবং অনেক অপশন
🔤 মন্দ দিক – কার্বন ইমিশন কিছুটা বেশি।

🔴 Liqui Moly (লিকুই মলি)

লিকুই মলি একটি জার্মান বেসড লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি, এবং রিলায়েবিলিটির কারণে বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েলের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্র্যান্ডের অয়েলগুলো অফ-রোড এবং রেসিং টাইপ বাইকের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্পেশাল ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে।

🔤ভালো দিক – ইঞ্জিন প্রটেকশন এবং পারফরম্যান্স
🔤মন্দ দিক – সব ধরণের বাইক ইঞ্জিনের জন্য পারফেক্ট নয়।

পরিশেষে, এই ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে তাদের রিলায়েবিলিটি এবং উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য বাইকার কমিউনিটিতে ইতিবাচক রিভিউ পেয়েছে। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল বাংলাদেশে জনপ্রিয়। তবে, মনে রাখবেন, আপনার মোটরবাইকের ইঞ্জিনের অপ্টিমাল পারফরম্যান্স এবং লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে আপনার বাইকের স্পেসিফিকেশন, কন্ডিশন, এবং রাইডিং স্টাইলের উপযোগী তেল বেছে নেওয়া অপরিহার্য। বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী রেকমেন্ড গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্র্যান্ড সিলেক্ট করবেন।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোটরবাইকের জন্য ৫ টি সেরা ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড

আপডেট সময় : ১২:৪৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

মোটরবাইকের জন্য ৫ টি সেরা ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড

ইঞ্জিন অয়েল এমন একটি তরল লুব্রিকেন্ট যা ইঞ্জিনের ভেতরে থাকা সকল পার্টসকে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। বাইক চলাকালীন বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্যে যেন অতিরিক্ত ঘর্ষণ সৃষ্টি না হয় এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা।

দেশের রাস্তা, তাপমাত্রা, ট্রাফিক জ্যাম ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল (মিনারেল) ৮০০-১০০০ কিলো এর মধ্যে, আর যদি ইঞ্জিন অয়েল সিস্থেটিক হয় তাহলে ২০০০-২৫০০ কিলো ব্যবহার করে পর পরিবর্তন জরুরী। তবে ৫০০ কিলো চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল একবার চেক, তার উপর বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশে বিখ্যাত কিছু ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। আমরা সাধারণত রিলায়েবিলিটি, পারফরম্যান্স, বাইকের ধরণ, এবং বাইকের কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড সিলেক্ট করি। এই অয়েলের প্রধান কাজ হল ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ক্ষয় রোধ করা।

মোটরবাইকের ইঞ্জিন অয়েল হলো এক ধরনের পুরু তেল, যা মোটর অয়েল, ইঞ্জিন লুব্রিক্যান্ট, ইঞ্জিন লুব অয়েল ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এটি ইঞ্জিনের ইন্টারনাল কম্বুশন, লুব্রিকেন্ট বা তৈলাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থের মিশ্রণ। এটি ব্যবহার না করলে উচ্চ তাপ এবং ঘর্ষণ জনিত কারণে ইঞ্জিনের ক্ষয় হয়, পারফরম্যান্স কমতে থাকে। ইঞ্জিন অয়েল তাপমাত্রাকে সর্বত্র বা কুলিং রেডিয়েটারে সমানভাবে বিতরণ করে এবং ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীন মেটাল ফ্রিকশন কমিয়ে দেয়।

ইফেক্টিভনেস, কোয়ালিটি, মার্কেট ডিমান্ড এবং ব্র্যান্ড ইমেজ বিবেচনা করে বাংলাদেশের মার্কেটে এভেইলেবল সেরা ৫টি ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ডগুলো হলো :-Motul (মটুল),Castrol (ক্যাস্ট্রল)
MOBIL (মবিল)
Shell (শেল)
Liqui Moly (লিকুই মলি)।

🔴 Motul (মটুল)

মটুল ব্র্যান্ডের লুব্রিকেন্ট অয়েল, হাই-পারফর্মিং মোটরসাইকেল ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। অফরোড এবং ট্র্যাক, উভয় রোডের জন্য এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল খুবই কার্যকর। এই ব্র্যান্ডের অয়েল উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ সহ্য করার জন্য বিশেষ ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে, যা চমৎকার লুব্রিকেশন এবং ইঞ্জিন সুরক্ষা প্রদান করে। ইঞ্জিন পাওয়ার এবং ক্যাপাসিটি স্বাভাবিক রাখার জন্য এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল অতুলনীয়।

এই ব্র্যান্ডের সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। এটি প্রায় সকল প্রকার যানবাহনের ইঞ্জিন অয়েল সহ অন্যান্য লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে এটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

🔤 ভালো দিক – মটুল মূলত স্পোর্টস এবং হাই-কনফিগারেশন বাইকের জন্য রিকমেন্ড করা হয়
🔤 মন্দ দিক – কমিউটার সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের জন্য এটি পারফেক্ট নাও হতে পারে।

🔴 Castrol (ক্যাস্ট্রল)

মোটরসাইকেলের জন্য মানসম্পন্ন লুব্রিকেন্টের জন্য ক্যাস্ট্রলের রিলায়েবিলিটি অতুলনীয়। এটি একটি ব্রিটিশ লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, তারা প্রায় সকল প্রকারের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ও বিভিন্ন লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। এই ব্র্যান্ড দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাহকের আস্থা ধরে রেখেছে। এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল কমিউটার বাইক থেকে হাই-পারফর্মিং স্পোর্টস বাইক পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশে কমিউটার বাইক ব্যবহারকারী বেশি হওয়ায়, বাইকারদের একটি বড় অংশ Castrol ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।

🔤 ভালো দিক – সাশ্রয়ে মূল্যে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট
🔤 মন্দ দিক – নকল পণ্য থাকায় সতর্ক থাকতে হয়।

🔴 MOBIL (মবিল)

মবিল ব্র্যান্ড সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলের জন্য বিখ্যাত। এটি সারা বিশ্বে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এই ব্র্যান্ডের অয়েল, প্রচলিত তেলের তুলনায় উন্নত সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা প্রদান করে। এই ব্র্যান্ড স্পেসিফিক বাইক মডেলের জন্য স্পেসিফিক ফর্মুলেটেড লুব্রিকেন্ট উৎপাদন করে থাকে, তাই ইঞ্জিনের পরিচ্ছন্নতা এবং লং লাস্টিং পারফরম্যান্স বজায় থাকে। এটি একটি আমেরিকান ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানি। এটি বাংলাদেশে এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেক সাধারন মানুষ ইঞ্জিন অয়েলকে মবিল বলে সম্মধন করেন।

🔤 ভালো দিক – এভেইলেবল এবং সাশ্রয়ী মূল্যে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট
🔤 মন্দ দিক – গ্রিন হাউস গ্যাস ইমিশন কিছুটা বেশি।

🔴 Shell (শেল)

শেল ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল উন্নত ফর্মুলেশনের জন্য পরিচিত, যা ঘর্ষণ কমাতে এবং ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ব্র্যান্ড বিভিন্ন পরিসরের ইঞ্জিন অয়েল সরবরাহ করে থাকে, যা রাইডার এবং বাইকের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা। এই ব্র্যান্ড পণ্যের গুণগত মানের কারনে বিশ্বব্যাপি পরিচিত। এটি বেশ সাশ্রয়ী দামে প্রায় সকল ধরনের যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ও লুব্রিকেন্ট প্রস্তুত করে থাকে। বাংলাদেশে, Ranks Petroleum Ltd হল শেল ইঞ্জিন অয়েলের পরিবেশক।

🔤 ভালো দিক – সাশ্রয়ী মূল্য এবং অনেক অপশন
🔤 মন্দ দিক – কার্বন ইমিশন কিছুটা বেশি।

🔴 Liqui Moly (লিকুই মলি)

লিকুই মলি একটি জার্মান বেসড লুব্রিকেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি, এবং রিলায়েবিলিটির কারণে বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েলের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্র্যান্ডের অয়েলগুলো অফ-রোড এবং রেসিং টাইপ বাইকের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্পেশাল ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে।

🔤ভালো দিক – ইঞ্জিন প্রটেকশন এবং পারফরম্যান্স
🔤মন্দ দিক – সব ধরণের বাইক ইঞ্জিনের জন্য পারফেক্ট নয়।

পরিশেষে, এই ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে তাদের রিলায়েবিলিটি এবং উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য বাইকার কমিউনিটিতে ইতিবাচক রিভিউ পেয়েছে। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল বাংলাদেশে জনপ্রিয়। তবে, মনে রাখবেন, আপনার মোটরবাইকের ইঞ্জিনের অপ্টিমাল পারফরম্যান্স এবং লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে আপনার বাইকের স্পেসিফিকেশন, কন্ডিশন, এবং রাইডিং স্টাইলের উপযোগী তেল বেছে নেওয়া অপরিহার্য। বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী রেকমেন্ড গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্র্যান্ড সিলেক্ট করবেন।

শেয়ার করুন