ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
আগামী ১লা, মে থেকে যৌন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে দুর্বার, বললেন বিশাখা।  পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উপজেলার দক্ষিণ মটুকপুর ইউনিয়নে চাচা ভাতিজার গন্ডগোল থানায় অভিযোগ সান্তাহারে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার  আত্রাইয়ে তীব্র গরমে চলছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ১ ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন । ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ নির্বাচনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মিঠু মৃধা চেয়ারম্যান নির্বাচিত দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘বিএমএসএস’ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন পঞ্চগড় জেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪ উদযাপন লালপুরে অপহৃত যুবক উদ্ধার, ৭ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

বাংলাদেশে সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সড়কপথে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

আরিফুল ইসলাম জয় ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

 

আরিফুল ইসলাম জয়
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে নিজ দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে বেলা পৌনে ৩ টার সময় ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।

এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে ভুটানের মহামহিম রাজা কুড়িগ্রাম জেলা পরিদর্শন এবং সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চৌকস গার্ড অব অনার ও নিরাপত্তা প্রদান সহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ।

ধরলা নদীর পুর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

শিল্পায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে আগামী এক দশকের মধ্যে কুড়িগ্রাম এই অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ জেলা হবে। সব মিলিয়ে অনন্য রোডম্যাপে উঠতে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম। নদ-নদী ও চরাঞ্চল অধ্যুষিত এই জেলায় কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাসহ শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শুধু ভুটান ও বাংলাদেশ নয়, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, কর্নেল মামুনুর রশীদ, লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সড়কপথে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

 

আরিফুল ইসলাম জয়
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান ও সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে নিজ দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতরন করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

পরে তিনি সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করে বেলা পৌনে ৩ টার সময় ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ।

এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে ভুটানের মহামহিম রাজা কুড়িগ্রাম জেলা পরিদর্শন এবং সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় চৌকস গার্ড অব অনার ও নিরাপত্তা প্রদান সহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ।

ধরলা নদীর পুর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

শিল্পায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে আগামী এক দশকের মধ্যে কুড়িগ্রাম এই অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ জেলা হবে। সব মিলিয়ে অনন্য রোডম্যাপে উঠতে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম। নদ-নদী ও চরাঞ্চল অধ্যুষিত এই জেলায় কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাসহ শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শুধু ভুটান ও বাংলাদেশ নয়, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, কর্নেল মামুনুর রশীদ, লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

শেয়ার করুন