ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জে ডিবির অভিযানে ৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-২ লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় সেফটি ট্যাংকে পড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ের মাদারগঞ্জ গরু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ ! কুষ্টিয়ায় কুলখানি নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে’ ঢাকায় ডোনাল্ড লু অবশেষে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক, বন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ডিমলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি ছাই মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি

চিরিরবন্দরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

চিরিরবন্দরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

পি কে রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিনাজপুরের চিররবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে ভোলানাথপুর গ্রামে সমলয় চাষাবাদের আওতায় ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ বা চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মাঠে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বোর মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের জন্য রাইস ট্র্যান্সপ্ল্যান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ৫০ একর জমির চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ জাফর ইকবাল।

এসময় তিনি বলেন, “দেশে দিন দিন জমির পরিমাণ কমছে, মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সনাতন নিয়মে চাষাবাদ করলে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে চাষাবাদে যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন। আর সে কারণেই সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এক টুকরো কৃষি জমিও খালি রাখা যাবে না। কৃষি জমির যথাযথ ব্যবহার করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম শরীফুল হক।

এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমজিএম সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা জানান, “কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলায় ৫০ একর জমিতে বীজসহ চারা তৈরি করে রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক ধান রোপণের রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্য সম-গভীরতায়, সম-দূরত্বে এবং অল্প শ্রমে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব। এতে খরচ কমবে, ফলন বাড়বে এবং সময় বাঁচবে। কৃষকদের মধ্যে সচতেনতা বৃদ্ধিই এই কার্যক্রমের লক্ষ্য। উপজেলার ৯০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে প্রাথমিকভাবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। একটি যন্ত্রের সাহায্যে দিনে চার একর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্ভব”।

নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, সবই একই সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে লাগানো হয় ধানের বীজ। তারপর ২২ থেকে ২৫ দিনের চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে রোপণ করা হয়।

একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, বেঁচে যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। ফলে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টর মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই।করা যাবে।
চিররবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে ভোলানাথপুর গ্রামে ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে সমলয়ে চাষাবাদের জন্য ট্রেতে হাইব্রিড SL-8 H জাতের বীজের চারা তৈরি করেন। এ প্রণোদনার আওতায় ব্লক প্রদর্শনীভূক্ত এই ৯০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিরিরবন্দরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৯:২৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

চিরিরবন্দরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন

পি কে রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিনাজপুরের চিররবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে ভোলানাথপুর গ্রামে সমলয় চাষাবাদের আওতায় ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ বা চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় মাঠে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বোর মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের জন্য রাইস ট্র্যান্সপ্ল্যান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ৫০ একর জমির চারা রোপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ জাফর ইকবাল।

এসময় তিনি বলেন, “দেশে দিন দিন জমির পরিমাণ কমছে, মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সনাতন নিয়মে চাষাবাদ করলে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে চাষাবাদে যান্ত্রিকীকরণ প্রয়োজন। আর সে কারণেই সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এক টুকরো কৃষি জমিও খালি রাখা যাবে না। কৃষি জমির যথাযথ ব্যবহার করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম শরীফুল হক।

এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমজিএম সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা জানান, “কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলায় ৫০ একর জমিতে বীজসহ চারা তৈরি করে রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক ধান রোপণের রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্য সম-গভীরতায়, সম-দূরত্বে এবং অল্প শ্রমে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব। এতে খরচ কমবে, ফলন বাড়বে এবং সময় বাঁচবে। কৃষকদের মধ্যে সচতেনতা বৃদ্ধিই এই কার্যক্রমের লক্ষ্য। উপজেলার ৯০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে প্রাথমিকভাবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। একটি যন্ত্রের সাহায্যে দিনে চার একর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্ভব”।

নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা, সবই একই সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ট্রেতে লাগানো হয় ধানের বীজ। তারপর ২২ থেকে ২৫ দিনের চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে রোপণ করা হয়।

একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, বেঁচে যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। ফলে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টর মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই।করা যাবে।
চিররবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নে ভোলানাথপুর গ্রামে ৯০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে সমলয়ে চাষাবাদের জন্য ট্রেতে হাইব্রিড SL-8 H জাতের বীজের চারা তৈরি করেন। এ প্রণোদনার আওতায় ব্লক প্রদর্শনীভূক্ত এই ৯০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন