সাবেক এমপির দুই সহযোগীসহ তিনজন আটক
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪২ বার পড়া হয়েছে
দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় নাটোরের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীসহ তিনজনকে আটক করেছেন টহলরত বিজিবি সদস্যরা। তারা তিনজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান। তারা নাটোরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে তারা তিনজন দৌলতপুর উপজেলার উদয়নগর সীমান্তের আতারপাড়া গ্রামের আকবর আলীর বাড়িতে অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই সীমান্তের ৮৪/৫-এস সীমানা পিলার সংলগ্ন স্থান থেকে টহলরত উদয়নগর বিওপির বিজিবি সদস্যরা ওই তিনজনকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার চক বৈদ্যনাথ গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৭), একই উপজেলার উত্তর বড়গাছা জোলারপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩০) ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসার সরকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম ডাবলু (৪২)। রাশেদুল ও রেজাউল নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আটকদের মধ্যে রাশেদুলের নামে হত্যা, নাশকতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। রেজাউলের নামে মাদক, মোটরসাইকেল চুরি, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া এদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেও আলাদা মামলা রয়েছে। অপরদিকে আমিনুলের নামে রয়েছে মাদকসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা।
আটকের পর তাদের বিজিবির কুষ্টিয়া সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের অপরাধের প্রোফাইল এবং সংবেদনশীলতা বিবেচনায় নাটোর জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম প্রিজনভ্যানে দৌলতপুর থানা থেকে শুক্রবার রাতেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের নাটোরে নিয়ে যান।
দৌলতপুর সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে পারাপার ঠেকাতে বর্তমানে বিজিবির টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির কঠোর নজরদারির এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান।