ভুয়া ডাক্তার সারাদেশে চড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার

- আপডেট সময় : ০২:৩১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

কামকল ইসলাম
বান্দরবানে মো. ইব্রাহিম আলী (৩৫) নামে ভুয়া একজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক পরিচয়ে সে ভুল চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রতারিত এক রোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বান্দরবান জেলা শহরের মধ্যমপাড়া থেকে এ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।
আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলার গ্যালেংগা ইউনিয়নে আগুনে শরীর পুড়ে যাওয়া এক নারী স্থানীয়দের পরামর্শে ভুয়া চিকিৎসক মো. ইব্রাহিম আলীর সাথে যোগাযোগ করেন। কোমর পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া পাওরি ম্রো নামে ওই নারী চিকিৎসার জন্য ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন।
প্রথম দফায় ৪৫ হাজার টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে ভুয়া চিকিৎসক। কিন্তু সাতদিন চিকিৎসার পরও রোগীর কোনো উন্নতি না হয়ে বরং আরও অবনতি হচ্ছিল। তাকে প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় অসুস্থ রোগীর স্বজনরা জানতে পারেন ইব্রাহিম ভুয়া ডাক্তার। বিষয়টি বুঝতে পেরে রোগীর স্বামী ঙান ওয়াই ম্রো বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশ মধ্যমপাড়া এলাকা থেকে ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে। ইব্রাহিম আলী কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. আলীর পুত্র। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
রোগীর স্বামী ঙান ওয়াই ম্রো বলেন, চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। ভুল চিকিৎসায় স্ত্রীর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অন্যদিকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল ইসলাম বলেন দেশের পতন্ত অঞ্চলে এই ধরনের ভুয়া ডাক্তার চড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যাদের হাতে হয়রানি হচ্ছে দেশের মানুষ তাই এই সমস্ত ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
বান্দরবানে সৃষ্টি হওয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের আত্মীয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়া থেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়া ভুয়া এই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চিকিৎসক কোনো সনদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। প্রতারণার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুল চিকিৎসায় পাহাড়ি নারীর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে