ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
বগুড়ায় বাদীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার আদালতের নারী হাজত খানায় নারীর সাথে তুফানের সাক্ষাতের ঘটনায় বেড়িয়ে এলো আসল রহস্য গাজীপুরে পোশাক শিল্পে আবারও অসনি সংকেত  ঘোড়ার মাংশ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা  গাজীপুর প্রতিনিধি আমতলীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন কর্মসূচী পালন, বরগুনায় নিহত মন্টু দাসের পরিবারের পাশে আফরোজা আব্বাস  সাধারণ মানুষের স্বার্থে ট্রাফিক ও জানজট মুক্ত করতে সাব ট্রাফিক স্টেশন উদ্বোধনে পুলিশ সুপার  বগুড়ায় পরকীয়া প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন বাগজানায় ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল  ভাসমান ডিপোতে তেল নেই ৫ বছর ধরে, ভোগান্তিতে ৪ জেলার মানুষ

ভাসমান ডিপোতে তেল নেই ৫ বছর ধরে, ভোগান্তিতে ৪ জেলার মানুষ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের চর-দ্বীপচরসহ বিভিন্ন জেলায় জালানী তেল নিশ্চিত করতে চিলমারীতে ১৯৮৯ সালে স্থাপিত হয় যমুনা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড নামে দুটি ভাসমান তেল ডিপো। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ করে আসছে।

 

ভাসমান ডিপো দুটি ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি যমুন অয়েল কোম্পানির লিমিটেড একই বছরের ২২ শে ফেব্রুয়ারিমেঘনাপেট্রোলিয়াম লিমিটেডের তেল শেষ হয়। ডিপো দু’টির অনুমোদিত ২০জন ডিলার সরকারী দামে জ্বালানী তেল ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করেন। প্রায় ১০লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই বার্জ দুটিতে প্রায় ৫ বছর ধরে তেল শূন্য হয়ে পড়ে আছে। ভাসমান ডিপো দু’টি তেল না থাকায় সেখানে জড়িত শতশত স্থানীয় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। অপর দিকে খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

 

চিলমারীর রমনা এলাকার স্স্থানীয় মানুষরা জানান, চার জেলায় বিভিন্ন এলাকায় সেচ মৌসুম এবং ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীতে নৌকা, ড্রেজার মেশিন, ট্রাক্টর, জেনারেটর, মাহেন্দ্রগাড়ী, নছিমন-করিমন সহ বিভিন্ন যন্ত্র চালনার জন্য প্রতিদিন গড়ে তেলের চাহিদা প্রায় ৮শ থেকে ৮৫০লিটার ব্যারেল বা দু’লাখ থেকে সোয়া দু’লাখ লিটার। এত তেলের চাহিদা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বছরের পর বছর তেল ডিপো বন্ধ রয়েছে।

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভাসমান ডিপোতে ডিজেল না থাকায় চার জেলার় কৃষক সাধারণ মানুষ ও নৌ চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিজেল কেনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

 

এদিকে মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ মহসিন আলী বলেন ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাসের কারণে তেল ভর্তি জাহাজ আসতে না পারায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে

একই সুরে কথা বলেন যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম, ডিপোটি স্থায়ী করনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া ভাসমান ডিপোটি বিপিসির একটি টিম পরিদর্শনা করে গেছে। ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাসের কারণে জাহাজ আসতে পারে না ।

 

ভাসমান তেল ডিপোর শ্রমিকরা জানান,কর্তৃপক্ষ ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকট দেখিয়ে ৫বছর ধরে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ডিপোতে তেল না আসার কারণ বলতে পারেন না। তবে ডিপোকে ঘিরে স্থানীয় প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

 

ডিলার হযরত আলী জানান ভাসমান ডিপোতে তেল না থাকায় ডিলাররা পার্বতীপুর,রংপুর ডিপো থেকে তেল কিনে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করছেন। বাহির থেকে তেল আনতে অতিরিক্ত পরিবহন,ঘাটতি ও শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি লিটারে প্রায় ২ টাকা বেশী পড়ছে। এভাবে ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতার হাত বদল হয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৪/৫ টাকা বেশি দরে। ফলে বাড়তি দামে তেল কিনে কৃষকের উৎপাদনসহ অন্যান্য খাতে এর প্রভাব পড়ছে।

 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, চিলমারির ভাসমান ডিপোতে তেল না থাকার বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাসমান ডিপোতে তেল নেই ৫ বছর ধরে, ভোগান্তিতে ৪ জেলার মানুষ

আপডেট সময় : ০১:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের চর-দ্বীপচরসহ বিভিন্ন জেলায় জালানী তেল নিশ্চিত করতে চিলমারীতে ১৯৮৯ সালে স্থাপিত হয় যমুনা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড নামে দুটি ভাসমান তেল ডিপো। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ করে আসছে।

 

ভাসমান ডিপো দুটি ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি যমুন অয়েল কোম্পানির লিমিটেড একই বছরের ২২ শে ফেব্রুয়ারিমেঘনাপেট্রোলিয়াম লিমিটেডের তেল শেষ হয়। ডিপো দু’টির অনুমোদিত ২০জন ডিলার সরকারী দামে জ্বালানী তেল ক্রয় করে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করেন। প্রায় ১০লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই বার্জ দুটিতে প্রায় ৫ বছর ধরে তেল শূন্য হয়ে পড়ে আছে। ভাসমান ডিপো দু’টি তেল না থাকায় সেখানে জড়িত শতশত স্থানীয় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। অপর দিকে খুচরা বাজারে বেশি দামে তেল কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

 

চিলমারীর রমনা এলাকার স্স্থানীয় মানুষরা জানান, চার জেলায় বিভিন্ন এলাকায় সেচ মৌসুম এবং ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীতে নৌকা, ড্রেজার মেশিন, ট্রাক্টর, জেনারেটর, মাহেন্দ্রগাড়ী, নছিমন-করিমন সহ বিভিন্ন যন্ত্র চালনার জন্য প্রতিদিন গড়ে তেলের চাহিদা প্রায় ৮শ থেকে ৮৫০লিটার ব্যারেল বা দু’লাখ থেকে সোয়া দু’লাখ লিটার। এত তেলের চাহিদা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বছরের পর বছর তেল ডিপো বন্ধ রয়েছে।

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভাসমান ডিপোতে ডিজেল না থাকায় চার জেলার় কৃষক সাধারণ মানুষ ও নৌ চালকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিজেল কেনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

 

এদিকে মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ মহসিন আলী বলেন ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাসের কারণে তেল ভর্তি জাহাজ আসতে না পারায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে

একই সুরে কথা বলেন যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম, ডিপোটি স্থায়ী করনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া ভাসমান ডিপোটি বিপিসির একটি টিম পরিদর্শনা করে গেছে। ব্রহ্মপুত্রের নাব্যতা হ্রাসের কারণে জাহাজ আসতে পারে না ।

 

ভাসমান তেল ডিপোর শ্রমিকরা জানান,কর্তৃপক্ষ ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকট দেখিয়ে ৫বছর ধরে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ডিপোতে তেল না আসার কারণ বলতে পারেন না। তবে ডিপোকে ঘিরে স্থানীয় প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

 

ডিলার হযরত আলী জানান ভাসমান ডিপোতে তেল না থাকায় ডিলাররা পার্বতীপুর,রংপুর ডিপো থেকে তেল কিনে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করছেন। বাহির থেকে তেল আনতে অতিরিক্ত পরিবহন,ঘাটতি ও শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি লিটারে প্রায় ২ টাকা বেশী পড়ছে। এভাবে ডিলার থেকে খুচরা বিক্রেতার হাত বদল হয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ৪/৫ টাকা বেশি দরে। ফলে বাড়তি দামে তেল কিনে কৃষকের উৎপাদনসহ অন্যান্য খাতে এর প্রভাব পড়ছে।

 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, চিলমারির ভাসমান ডিপোতে তেল না থাকার বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।

শেয়ার করুন