ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ত্রাণ উপদেষ্টার কুড়িগ্রামে আসার খবর জানেন না সাংবাদিকরা আদমদীঘিতে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা গাজীপুরে ১০ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা শিশু সুরক্ষা ও দ্রুত বিচার দাবিতে প্রশাসনে স্মারকলিপি প্রদান গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি চলছে  বগুড়ার শেরপুরে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ আন্তঃ জেলা চোরচক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার  যুবককে আটক করায় কুড়িগ্রামে পুলিশের গাড়িতে হামলা জয়পুরহাটে ইট ভাটা চালু রাখার দাবীতে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের মানববন্ধ খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত ।

বগুড়ায় গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী তীর

শাহজাহান আলী,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

শাহজাহান আলী,বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার সোনাতলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল(নিচাচর খাটাশ) উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এন্ড এনর্জি এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ(তীর) এর সদস্যরা।

০৪ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) সকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাবিব হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে। তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহোযোগিতায় বেলা

১২ টার দিকে তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার।

তীরের সভাপতি মোঃ হোসেন রহমান জানান,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর বনজারভেশন নেচারের

(আইইউসিএন) এর মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর ও প্রাণীটি এক সময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়েনা।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন,গন্ধগোকুল (নিশাচর) খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছা-কাছি থাকে।দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে,থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মুলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচচা, পাখি, ছোট প্রাণী, তাল, খেজুরের রসও খায়।অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগী-

কবুতর ও ফল চুরি করে।এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন “টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ “(তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক এ ভূষিত হয়।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

বগুড়ায় গন্ধগোকুল উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী তীর

আপডেট সময় : ০৮:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শাহজাহান আলী,বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার সোনাতলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া থেকে একটি গন্ধগোকুল(নিচাচর খাটাশ) উদ্ধার করেছে জাতীয় পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এন্ড এনর্জি এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ(তীর) এর সদস্যরা।

০৪ জানুয়ারি(মঙ্গলবার) সকালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সুজাইতপুর দক্ষিণপাড়া গন্ধগোকুলটি আটক করে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে তীর কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শে তীরের সদস্য রাবিব হাসান মোহন তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন আবু মানাফ খান সৈকত এর সাথে। তিনি ঘটনাস্থলে শিমন আহমেদ বাদলকে পাঠিয়ে প্রাণীটি মারতে নিষেধ করে ও তার সহোযোগিতায় বেলা

১২ টার দিকে তীরের সদস্যরা গিয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তীরের সভাপতি হোসেন রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও সোনাতলা উপজেলার ফরেস্ট অফিসের জুলফিকার।

তীরের সভাপতি মোঃ হোসেন রহমান জানান,বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত এবং জাতিসংঘের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর বনজারভেশন নেচারের

(আইইউসিএন) এর মতে বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী( সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। নিশাচর ও প্রাণীটি এক সময় প্রচুর পাওয়া গেলেও বর্তমানে প্রাণীটি তেমন চোখে পড়েনা।

তীরের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা বলেন,গন্ধগোকুল (নিশাচর) খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছা-কাছি থাকে।দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে,থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মুলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচচা, পাখি, ছোট প্রাণী, তাল, খেজুরের রসও খায়।অন্য খাদ্যের অভাবে মুরগী-

কবুতর ও ফল চুরি করে।এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।

উল্লেখ্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন “টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ “(তীর) উত্তরবঙ্গে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য সংগঠনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে জাতীয় পদক এ ভূষিত হয়।

শেয়ার করুন