ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি, ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এবিসি ন্যাশনাল ডেক্স নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি,
ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা জানেন উল্লেখ করে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তিনি নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। আর এই বিষয়ে তিনি ছাড়ও দেবেন না।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথের পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দেন খ্যাতনামা এই চিকিৎসক।

সকালে সচিবালয় আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাসচিব, পরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। মন্ত্রী সবার সঙ্গে পরিচিত হন।

এরপর সাংবাদিকদের সামন্ত লাল বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা আমিও জানি। আমি চেষ্টা করব। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতির ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স।

“আমি নিজেও কখনও দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘তুমি (কাজ) কর। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে টেলিফোন কর।’ আমি সেটাই করব।”

গত ৭ জানুয়ারির ভোটের তৃতীয় দিনে বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামগুলো জানানো হয়। ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর ভিড়ে চমক ছিল সামন্ত লাল সেন নামটি।

তিনি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে দেশের পরিচিত মুখ। দেশে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কও ছিলেন।

শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ফোন নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সেদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ করে একটা ফোন পেলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছ থেকে। বললেন, ‘আমি সচিব বলছি।’

“উনার নম্বরটা আমার মোবাইলে সেইভ করা ছিল। আমি ভাবলাম কোনো রোগীর বিষয়ে কথা বলবেন হয়ত। উনি বললেন যে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করছেন।’

“আমি সঙ্গে সঙ্গে কলাপ্স (নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা) করে যাচ্ছিলাম যে এ কী বলছে! আমি চিন্তা করছিলাম যে এটা কি সত্যি নাকি কোনো ভুয়া টেলিফোন। পরে যখন টেলিভিশনে দেখলাম তখন নিশ্চিত হলাম যে সত্যিই।”

সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের এক দশমাংশ সংসদের বাইরে থেকেও নিয়োগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এদেরকে বলা হয় টেকনোক্র্যাট কোটা।

এবার যে ৩৬ জনকে সরকারে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন দুইজনকে। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আগের মতোই ইয়াফেস ওসমানকে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় জন হলেন সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সবার সহায়তা চান তিনি।

সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সামন্ত লাল সেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল সেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতেও তার ভূমিকা আছে। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি, ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

নিজে দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি,
ছাড়ও দেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা জানেন উল্লেখ করে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তিনি নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। আর এই বিষয়ে তিনি ছাড়ও দেবেন না।

গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথের পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দেন খ্যাতনামা এই চিকিৎসক।

সকালে সচিবালয় আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাসচিব, পরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকসহ কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। মন্ত্রী সবার সঙ্গে পরিচিত হন।

এরপর সাংবাদিকদের সামন্ত লাল বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির কথা আমিও জানি। আমি চেষ্টা করব। এটুকু বলতে পারি, দুর্নীতির ব্যাপারে আমি জিরো টলারেন্স।

“আমি নিজেও কখনও দুর্নীতির ধারেকাছে যাইনি। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ‘তুমি (কাজ) কর। যদি কোনো অসুবিধা হয় আমাকে টেলিফোন কর।’ আমি সেটাই করব।”

গত ৭ জানুয়ারির ভোটের তৃতীয় দিনে বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামগুলো জানানো হয়। ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর ভিড়ে চমক ছিল সামন্ত লাল সেন নামটি।

তিনি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে দেশের পরিচিত মুখ। দেশে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কও ছিলেন।

শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ফোন নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “সেদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে হঠাৎ করে একটা ফোন পেলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছ থেকে। বললেন, ‘আমি সচিব বলছি।’

“উনার নম্বরটা আমার মোবাইলে সেইভ করা ছিল। আমি ভাবলাম কোনো রোগীর বিষয়ে কথা বলবেন হয়ত। উনি বললেন যে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করছেন।’

“আমি সঙ্গে সঙ্গে কলাপ্স (নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা) করে যাচ্ছিলাম যে এ কী বলছে! আমি চিন্তা করছিলাম যে এটা কি সত্যি নাকি কোনো ভুয়া টেলিফোন। পরে যখন টেলিভিশনে দেখলাম তখন নিশ্চিত হলাম যে সত্যিই।”

সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের এক দশমাংশ সংসদের বাইরে থেকেও নিয়োগ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এদেরকে বলা হয় টেকনোক্র্যাট কোটা।

এবার যে ৩৬ জনকে সরকারে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন দুইজনকে। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আগের মতোই ইয়াফেস ওসমানকে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় জন হলেন সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ সবার সহায়তা চান তিনি।

সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সামন্ত লাল সেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন বিভাগ চালু হয়। সামন্ত লাল সেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দেশে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাতেও তার ভূমিকা আছে। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।

শেয়ার করুন