ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

নগরীর পাহাড়তলীর সুপারি বাগান এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম

নগরীর পাহাড়তলীর সুপারি বাগান এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, কালির ছড়াখাল ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিকে (বেলা) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সংঘটিত এ ঘটনায় আকবরশাহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

জিডিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় ৯ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে মো. হৃদয়, আবু নোমান, সাইফুদ্দিন ভূইয়া, আনিস চৌধুরী রাজন, শাকিল, সাঈদসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এই বাধা দেন এবং আক্রমণাত্বক অঙ্গভঙ্গি পরিদর্শন করেন। বাধা প্রদানকারীরা বারবার পরিদর্শনকারীদের কেন এসেছেন, কোথা থেকে এসেছেন ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

বেলার চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী মনিরা পারভিন, কর্মসূচি প্রধান ফিরোজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার ফারমিন এলাহীও ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে বেলার প্রধান নির্বাহী জিডিতে উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর জসিম ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা পরিদর্শন টিমের ভাড়া করা গাড়ি সিটি কর্পোরেশনের লেকসিটি আবাসিকের প্রধান গেটে আটকে দেয়। কিরিচ, কাঁচি, ছুরি ইত্যাদি ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক গাড়িটিকে লেকসিটি আবাসিকের অফিসে নিয়ে যায় এবং গাড়িটিকে ছাড়া হবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করা হয়।

আক্রমণের প্রস্তুতি দেখে পরিদর্শনকারীরা পাহাড়ের নীচে না নেমে পথ পরিবর্তন করে বায়েজিদ লিংক রোড–এ (সুপারি বাগান, গাউছিয়া হোটেলের সামনে ৫নং ব্রিজের সন্নিকটে) অবস্থান নেয় এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরবর্তীতে পুলিশের একটি টিম লেকসিটি প্রধান গেটের সামনে থেকে চালককে গাড়িসহ উদ্ধার করে লিংক রোডে পাঠায়।

লিংক রোডে গাড়িতে উঠার সময় পরিদর্শন টিমকে উদ্দেশ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং কাউন্সিলর জসিমের সাথে দেখা করে যেতে হবে বলে লিংকরোডে উপস্থিত তার সাঙ্গপাঙ্গরা চিৎকার করতে থাকে ও গাড়ির পিছু নেয়।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। তখন আমি অফিসে ছিলাম। যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর গণমাধ্যম কে বলেন, বাধা প্রদানের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

নগরীর পাহাড়তলীর সুপারি বাগান এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা

আপডেট সময় : ১২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

 

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম

নগরীর পাহাড়তলীর সুপারি বাগান এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, কালির ছড়াখাল ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিকে (বেলা) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সংঘটিত এ ঘটনায় আকবরশাহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বেলার প্রধান নির্বাহী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

জিডিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় ৯ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে মো. হৃদয়, আবু নোমান, সাইফুদ্দিন ভূইয়া, আনিস চৌধুরী রাজন, শাকিল, সাঈদসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এই বাধা দেন এবং আক্রমণাত্বক অঙ্গভঙ্গি পরিদর্শন করেন। বাধা প্রদানকারীরা বারবার পরিদর্শনকারীদের কেন এসেছেন, কোথা থেকে এসেছেন ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

বেলার চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী মনিরা পারভিন, কর্মসূচি প্রধান ফিরোজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার ফারমিন এলাহীও ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বলে বেলার প্রধান নির্বাহী জিডিতে উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর জসিম ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা পরিদর্শন টিমের ভাড়া করা গাড়ি সিটি কর্পোরেশনের লেকসিটি আবাসিকের প্রধান গেটে আটকে দেয়। কিরিচ, কাঁচি, ছুরি ইত্যাদি ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক গাড়িটিকে লেকসিটি আবাসিকের অফিসে নিয়ে যায় এবং গাড়িটিকে ছাড়া হবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করা হয়।

আক্রমণের প্রস্তুতি দেখে পরিদর্শনকারীরা পাহাড়ের নীচে না নেমে পথ পরিবর্তন করে বায়েজিদ লিংক রোড–এ (সুপারি বাগান, গাউছিয়া হোটেলের সামনে ৫নং ব্রিজের সন্নিকটে) অবস্থান নেয় এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরবর্তীতে পুলিশের একটি টিম লেকসিটি প্রধান গেটের সামনে থেকে চালককে গাড়িসহ উদ্ধার করে লিংক রোডে পাঠায়।

লিংক রোডে গাড়িতে উঠার সময় পরিদর্শন টিমকে উদ্দেশ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং কাউন্সিলর জসিমের সাথে দেখা করে যেতে হবে বলে লিংকরোডে উপস্থিত তার সাঙ্গপাঙ্গরা চিৎকার করতে থাকে ও গাড়ির পিছু নেয়।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। তখন আমি অফিসে ছিলাম। যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর গণমাধ্যম কে বলেন, বাধা প্রদানের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন