ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
বগুড়ায় প্যান্টের পকেটে মিললো ইয়াবা:দুই যুবক গ্রেফতার বগুড়ায় তিন সেমাই কারখানার লাখ টাকা জরিমানা  কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্রে আঃলীগ নেতার ছেলের লাশ উদ্ধার খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত খুলনা-১ আসন থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জিয়াউর রহমান পাপুল’র সাথে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ । বগুড়ায় স্কুল শিক্ষিকার মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উত্ত্যক্ত কারার ঘটনায় মোবাইল কোড পরিচালনা করে সাজা প্রদান।   উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ মাস অনুপস্থিত অফিস সহায়ক ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মহিলা দলের মানববন্ধন মগরাহাট পশ্চিম ব্লক জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাওয়াতে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে 

দৌলতপুরে লম্পট হুজুরের পরকীয়া বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন, আদালতে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

 

কুষ্টিয়া দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর গ্রামের এক লম্পট হুজুরের পরকীয়া বাধা দেয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী শিশু দমন আইনে মামলা দাযের করুন। পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলা চক দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে হুজুর আবু সাঈদ এর সাথে পার্শ্ববর্তী হগোল বাড়িয়া ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের দিন মজুরি শাহিন মন্ডল সুন্দরী কন্যার সাথে গত ৭ বছর আগে দেড় লাখ টাকা দেন মোহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে শশুর শাহিন মন্ডল খুশি হয়ে দেড় লাখ টাকা দামের একটি মোটর সাইকেল দেন। চতুর জামাই মোটর সাইকেল পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতে
কারিয়ানা পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। তাদের ২ বৎসর বিয়ের বয়সে একটি কন্যা সন্তানের জনক হয়। তার সন্তান জন্মের পর থেকে স্ত্রী শান্তা কে আর তার চোখে ভালো লাগে না। কারিয়ানা পড়াতে বের হলে তার স্ত্রীর সন্তানের উপরে আর কোন খোঁজখবর থাকে না। পরে স্ত্রী শান্তা জানতে পারে সে কারি আনা পড়ানো সুন্দরী ছাত্রীদের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। স্ত্রী তার এক পরকীয়া ছাত্রীর ফোন পেয়ে আর ও পরিষ্কার হয়ে। পরে স্বামী আবু সাইদ কে জিজ্ঞাসা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু সাঈদ সহ পরিবারের লোকজন তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে পরে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। স্ত্রী শান্তা সুস্থ হয়ে দৌলতপুর থানায় স্বামী ও শশুর শাশুড়ির নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করেন। যার জি,আর মামলা নং ২৩ /৯/৪/২২ ধারা ২৭৪ /২২। এ মামলায় আবু সাঈদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সালিশ বৈঠকে ৩ শ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের উপর নির্যাতন করবে না এই মর্মে লেখাপড়া করে স্ত্রী শান্তা কে দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে।পরে পুনরায় নির্যাতন শুরু করে স্ত্রী শান্তার খোঁজ খবর রাখেন না। এক পর্যায়ে দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদে এক সালিশ বৈঠকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা করে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সে শালীর বৈঠকে অমান্য করে বহাল তাবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে তার সুষ্ঠু বিচার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন পরিবার এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

দৌলতপুরে লম্পট হুজুরের পরকীয়া বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন, আদালতে মামলা

আপডেট সময় : ১২:৩১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

 

কুষ্টিয়া দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চক দৌলতপুর গ্রামের এক লম্পট হুজুরের পরকীয়া বাধা দেয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী শিশু দমন আইনে মামলা দাযের করুন। পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলা চক দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে হুজুর আবু সাঈদ এর সাথে পার্শ্ববর্তী হগোল বাড়িয়া ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের দিন মজুরি শাহিন মন্ডল সুন্দরী কন্যার সাথে গত ৭ বছর আগে দেড় লাখ টাকা দেন মোহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে শশুর শাহিন মন্ডল খুশি হয়ে দেড় লাখ টাকা দামের একটি মোটর সাইকেল দেন। চতুর জামাই মোটর সাইকেল পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতে
কারিয়ানা পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। তাদের ২ বৎসর বিয়ের বয়সে একটি কন্যা সন্তানের জনক হয়। তার সন্তান জন্মের পর থেকে স্ত্রী শান্তা কে আর তার চোখে ভালো লাগে না। কারিয়ানা পড়াতে বের হলে তার স্ত্রীর সন্তানের উপরে আর কোন খোঁজখবর থাকে না। পরে স্ত্রী শান্তা জানতে পারে সে কারি আনা পড়ানো সুন্দরী ছাত্রীদের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। স্ত্রী তার এক পরকীয়া ছাত্রীর ফোন পেয়ে আর ও পরিষ্কার হয়ে। পরে স্বামী আবু সাইদ কে জিজ্ঞাসা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু সাঈদ সহ পরিবারের লোকজন তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে পরে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। স্ত্রী শান্তা সুস্থ হয়ে দৌলতপুর থানায় স্বামী ও শশুর শাশুড়ির নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করেন। যার জি,আর মামলা নং ২৩ /৯/৪/২২ ধারা ২৭৪ /২২। এ মামলায় আবু সাঈদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সালিশ বৈঠকে ৩ শ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের উপর নির্যাতন করবে না এই মর্মে লেখাপড়া করে স্ত্রী শান্তা কে দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে।পরে পুনরায় নির্যাতন শুরু করে স্ত্রী শান্তার খোঁজ খবর রাখেন না। এক পর্যায়ে দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদে এক সালিশ বৈঠকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা করে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সে শালীর বৈঠকে অমান্য করে বহাল তাবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে তার সুষ্ঠু বিচার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন পরিবার এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন