দেশীয় মাছের চরম সংকট !!
- আপডেট সময় : ১২:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
মিরু হাসান বাপ্পী
বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
০৫ অক্টোবর ২০২২খ্রিঃ
এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বগুড়ার জেলার আদমদীঘি উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে একসময় পানি পরিপূর্ণ হয়ে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। এ বিল থেকে এই এলাকায় মাছের চাহিদা পূরণ করে পার্শ্ববর্তি
জেলা নওগাঁ, নাটোর, জয়পুরহাট, পাবনা, রাজশাহী এলাকায় দেশি মাছের
চাহিদা পূরণ হতো। এই বিলে পুটি, টেংরা, ভেদা, পরদা, চিংড়ি, কৈ, ঐতিহাসিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন রক্তদহবিল রক্তদহ বিল এলাকা বর্তমানে ধান চাষে পরিণত হয়ে।
বোয়াল, শোল, মাগুর, কানছ, মলা, ঢেলা, বাতসি প্রভৃতি মাছ পাওয়া যেত । এসব মাছের সুখ্যাতি আজও ছড়িয়ে আছে। এই এলাকার মধ্যে সবচেয়ে দুসাধু মাছ পাওয়া যেত এই ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলে। সাধারণত বর্ষাকাল শেষে আদিন-কার্তিক মাসে প্রচুর দেশি জাতের মাছ এই বিলে ধরা পড়ে। কিন্তু এই বছর চাহিদা অনুযায়ী দেশি মাছ ধরা না পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই এলাকার মৎস ব্যবসায়ীরা। মৎস চাষিরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পোনা মাছ ধরায় এই খনন না করায় তলদেশ উঁচু হয়ে বিলের অর্ধেক আগের মতো দেশি মাছ না হওয়ায় অনেক মৎস চাষি বেকার হয়ে পড়েছে। ক্রেতারাও পুকুরের চাষের মাছের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের মৎস ব্যবসায়ী মিন্টু হোসেন বলেন, রক্তদহ বিল ছোট হয়ে গেছে, বন্যাও নেই কয়েকবছর।
ফলে দেশি মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। বিল খনন করাটা জরুরী। প্রয়োজনীয় দেশি মাছ না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে। কিছু দেশি মাছ বিলুপ্তও হয়ে গেছে। রক্তদহ বিল এলাকার দমদমা গ্রামের সংবাদিক গোলম আম্বিয়া বলেন, রক্তদহ বিল সংস্কার করতে হবে অবিলম্বে ।
নিষিদ্ধ মাছ ধরার জাল বিষয়ে জেলেদের সচেতন করতে হবে। এ দিকে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলিতে দেশি মাছ অপ্রতুল হওয়াতে এর চাহিদা বেড়েছে। অনেক ক্রেতা বাজারে এসে অপাক্ষা করেন, কখন দেশি মাছ বিক্রেতা আসবেন বাজারে। বাজারে যেখানে ছোট দেশি মাছ দেখা যায়, সেখানেই ক্রেতাদের ভিড়। এ সুযোগে বিক্রেতারও বেশি দাম চেয়ে বসে।বর্তমানে সান্তাহার বাজারে টেংরা মাছ ৭০০ টাকা, পুটি মাছ ৩০০/৪০০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৬০০ টাকা, বঁচি মাছ ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুজের পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশি মাছ সংরক্ষণে আমরা জেলেদের ব্যবহার বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাছ ধরার জাল আটক করি। সেগুলি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময় জেলেদের দেশি মাছ না ধরার জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়। জেলেদের দেশি মাছ সংরক্ষণের মটিভেশন করা হয়। দেশি পোনা মাছ অভিমুক্ত করা হয় । তাছাড়া প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে সব সময় মানটরিং করা যায় না।