ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত।  ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। 

জয়পুরহাটে এক কেজি চিনিতে উৎপাদন মুল্য ৪০২ টাকা, মিলের লোকসান ।

মোঃ আল-আমিন  জয়পুরহাট প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আল-আমিন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান নিয়ে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এরপরই টানা ৩৪ দিন ধরে চলবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬২তম আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩-৬৪ সাল থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার আওতাধীন এই মিলটি আখ মাড়াই মৌসুম শুরুর পর প্রায় ৩০ বছর লাভ-লোকসান মিলিয়ে চলে। এরপর ১৯৯৪-৯৫ আখ মাড়াই মৌসুমের পর থেকে মিলটি আর লাভের মুখ দেখেনি। প্রতি বছরই লোকসান গুনতে হয় মিলটির। আর এই লোকসান বাড়তে বাড়তে এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

 

মিলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুমে ৩৭ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছে। এতে এক হাজার ১১৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এখনও ৩৭০ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। ওই মৌসুমে ব্যাংক ঋণের সুদসহ প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে ৫২৭ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর সুদ ছাড়া ব্যয় হয়েছে ৩৮১ টাকা। উৎপাদিত চিনি বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। সেই হিসাবে এক কেজি চিনিতে লোকসান গুনতে হয়েছে সুদসহ ৪০২ টাকা ও সুদ ছাড়া ২৫৬ টাকা। এক কেজি চিনিতে সুদসহ লোকসানের পরিমাণ বেশি। সবমিলিয়ে ওই মৌসুমে মোট প্রায় ৫৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে লোকসান ছিল ৬৯ কোটি টাকা।

 

এবার চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৩ হাজার ২ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এসব জমির ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। মিলটির আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম শুক্রবার শুরু হলে তা আগামী ৩৪ দিন চলানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

 

জয়পুরহাট চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখলাছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগের তুলনায় দিনদিন আখের আবাদ বাড়ছে। গত মৌসুমে ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমেও চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রতি মৌসুমে আখের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ৫৫০ টাকা দরে আখ কেনা হলেও এবার ৬০০ টাকা দরে কেনা হবে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে এক কেজি চিনিতে উৎপাদন মুল্য ৪০২ টাকা, মিলের লোকসান ।

আপডেট সময় : ১০:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ আল-আমিন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান নিয়ে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এরপরই টানা ৩৪ দিন ধরে চলবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬২তম আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩-৬৪ সাল থেকে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার আওতাধীন এই মিলটি আখ মাড়াই মৌসুম শুরুর পর প্রায় ৩০ বছর লাভ-লোকসান মিলিয়ে চলে। এরপর ১৯৯৪-৯৫ আখ মাড়াই মৌসুমের পর থেকে মিলটি আর লাভের মুখ দেখেনি। প্রতি বছরই লোকসান গুনতে হয় মিলটির। আর এই লোকসান বাড়তে বাড়তে এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

 

মিলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন মৌসুমে ৩৭ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছে। এতে এক হাজার ১১৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এখনও ৩৭০ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। ওই মৌসুমে ব্যাংক ঋণের সুদসহ প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে ৫২৭ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর সুদ ছাড়া ব্যয় হয়েছে ৩৮১ টাকা। উৎপাদিত চিনি বাজারে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। সেই হিসাবে এক কেজি চিনিতে লোকসান গুনতে হয়েছে সুদসহ ৪০২ টাকা ও সুদ ছাড়া ২৫৬ টাকা। এক কেজি চিনিতে সুদসহ লোকসানের পরিমাণ বেশি। সবমিলিয়ে ওই মৌসুমে মোট প্রায় ৫৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে লোকসান ছিল ৬৯ কোটি টাকা।

 

এবার চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ৩ হাজার ২ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। এসব জমির ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। মিলটির আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রম শুক্রবার শুরু হলে তা আগামী ৩৪ দিন চলানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

 

জয়পুরহাট চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখলাছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগের তুলনায় দিনদিন আখের আবাদ বাড়ছে। গত মৌসুমে ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমেও চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রতি মৌসুমে আখের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ৫৫০ টাকা দরে আখ কেনা হলেও এবার ৬০০ টাকা দরে কেনা হবে।

শেয়ার করুন