ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

গোপালগঞ্জে ফোন করলেই  বাড়িতে পৌঁছে যায় অতিথি পাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে ফোন করলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায় অতিথি পাখি। বিল ও জলাশয়গুলোতে হালকা শীতের আমেজে প্রতিবছরের মতো দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। পানি কমে আসা বিল ও জলাশয়গুলোতে খাবারের সন্ধানে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সঙ্গে আসছে দেশীয় প্রজাতির পাখিও। আর এই সুযোগে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে পাখি নিধন করছে অসাধু শিকারিরা। উজ্জ্বল রায়, , এসব পাখির একটা বড় অংশ বিষটপ, জাল, বড়শিতে আটকে শিকারের খাঁচায় বন্দি হচ্ছে। সেগুলো আবার দেদার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার হাটে-বাজারে। এমনকি মুঠোফোনে অর্ডার করলেই যথারীতি একটু গোপনে ব্যাগভর্তি করে মোটরসাইকেলে ক্রেতার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে অতিথি পাখি।
জানা যায়, মূলত নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত অবস্থান করে এসব পাখি। শীত শেষ হলে আবার ফিরে যায় তারা। এবছরও ব্যতিক্রম ঘটেনি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মাছে বিষটপ, জাল ও বড়শি দেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে অভিনব কৌশলে পাখি শিকার করছে তারা।
এ বছর শীতের আগেভাগেই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার, পিঠা বাড়িয়া বিল, কাজুলিয়া বিল, বাজুনিয়া বিল, বাঘাযুর বিল, বেতাঙ্গীর বিল,
ও হাজার হাজার চিংড়ি ঘের এলাকায় অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে। মূলত এসব জলাশয়ে শীত মৌসুমে অল্প পানিতে মাছ শিকারের জন্য অসংখ্য পাখি আসে। বিদেশি পাখিদের সঙ্গে থাকে-বালি হাঁস, কালকোচ, কায়েম, ডুঙ্কর, পানকৌড়ি, পাতাড়ি হাঁস, হাঁস ডিঙ্গি, কাদা খোঁচা, খয়রা, চেগা, কাচিচোরা, মদনটাক, শামুখখোলা ও বকসহ নানা প্রজাতির পাখি। বিকাল থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির এসব পাখি দল বেঁধে বিল এলাকায় গিয়ে খাদ্য সংগ্রহে নেমে পড়ে। আর সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকে শিকারি চক্র। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যেখানে পাখিদের আনাগোনা বেশি সেসব বিল ও জলাশয়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে জালের ফাঁদ পাতে শিকারি চক্র। এরপর অতিথি পাখিদের ডাউনলোড করা ডাক পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে ঢুকিয়ে বাজানো শুরু করে। আর ওই ডাক শুনে সতীর্থদের নিরাপদ অবস্থান মনে করে শিকারির পাতা ফাঁদে নামতে শুরু করে অতিথি পাখিরা। আর এভাবে অভিনব কায়দার ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আটকা পড়ছে শিকারির ফাঁদে।
কয়েকজন পাখি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বলাকুর ও রঘুনাথপুর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি। পাশাপাশি অগ্রিম অর্ডারের মাধ্যমে যথারীতি এসব পাখি বিক্রেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পোঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রতি জোড়া ডুঙ্কর ও কাঁদা খোচা পাখি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালকোচ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাইয়ুম পাখি ৭০০ থেকে ৮০০ ও বালিহাঁস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া আকার ভেদে পাখি সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোপালগঞ্জে ফোন করলেই  বাড়িতে পৌঁছে যায় অতিথি পাখি

আপডেট সময় : ০২:০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে ফোন করলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায় অতিথি পাখি। বিল ও জলাশয়গুলোতে হালকা শীতের আমেজে প্রতিবছরের মতো দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। পানি কমে আসা বিল ও জলাশয়গুলোতে খাবারের সন্ধানে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সঙ্গে আসছে দেশীয় প্রজাতির পাখিও। আর এই সুযোগে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে পাখি নিধন করছে অসাধু শিকারিরা। উজ্জ্বল রায়, , এসব পাখির একটা বড় অংশ বিষটপ, জাল, বড়শিতে আটকে শিকারের খাঁচায় বন্দি হচ্ছে। সেগুলো আবার দেদার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার হাটে-বাজারে। এমনকি মুঠোফোনে অর্ডার করলেই যথারীতি একটু গোপনে ব্যাগভর্তি করে মোটরসাইকেলে ক্রেতার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে অতিথি পাখি।
জানা যায়, মূলত নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত অবস্থান করে এসব পাখি। শীত শেষ হলে আবার ফিরে যায় তারা। এবছরও ব্যতিক্রম ঘটেনি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মাছে বিষটপ, জাল ও বড়শি দেওয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে অভিনব কৌশলে পাখি শিকার করছে তারা।
এ বছর শীতের আগেভাগেই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার, পিঠা বাড়িয়া বিল, কাজুলিয়া বিল, বাজুনিয়া বিল, বাঘাযুর বিল, বেতাঙ্গীর বিল,
ও হাজার হাজার চিংড়ি ঘের এলাকায় অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে। মূলত এসব জলাশয়ে শীত মৌসুমে অল্প পানিতে মাছ শিকারের জন্য অসংখ্য পাখি আসে। বিদেশি পাখিদের সঙ্গে থাকে-বালি হাঁস, কালকোচ, কায়েম, ডুঙ্কর, পানকৌড়ি, পাতাড়ি হাঁস, হাঁস ডিঙ্গি, কাদা খোঁচা, খয়রা, চেগা, কাচিচোরা, মদনটাক, শামুখখোলা ও বকসহ নানা প্রজাতির পাখি। বিকাল থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির এসব পাখি দল বেঁধে বিল এলাকায় গিয়ে খাদ্য সংগ্রহে নেমে পড়ে। আর সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকে শিকারি চক্র। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যেখানে পাখিদের আনাগোনা বেশি সেসব বিল ও জলাশয়ের বৃহৎ এলাকাজুড়ে জালের ফাঁদ পাতে শিকারি চক্র। এরপর অতিথি পাখিদের ডাউনলোড করা ডাক পোর্টেবল সাউন্ড-বক্সে ঢুকিয়ে বাজানো শুরু করে। আর ওই ডাক শুনে সতীর্থদের নিরাপদ অবস্থান মনে করে শিকারির পাতা ফাঁদে নামতে শুরু করে অতিথি পাখিরা। আর এভাবে অভিনব কায়দার ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আটকা পড়ছে শিকারির ফাঁদে।
কয়েকজন পাখি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বলাকুর ও রঘুনাথপুর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি। পাশাপাশি অগ্রিম অর্ডারের মাধ্যমে যথারীতি এসব পাখি বিক্রেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পোঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রতি জোড়া ডুঙ্কর ও কাঁদা খোচা পাখি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালকোচ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাইয়ুম পাখি ৭০০ থেকে ৮০০ ও বালিহাঁস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়া আকার ভেদে পাখি সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।।

শেয়ার করুন