এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ

কবে পাবেন রনাঙ্গনের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে

মফস্বল সম্পাদক:
পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের পাড়াশিধাই গ্রামের মোঃ হাসমত আলী শেখ হাসু (৭৮)।
অভিমানি নিভৃতচারী ৭১’র রনাঙ্গনের প্রকৃত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাবনা জেলার রক্ষী বাহিনী ইউনিটে নায়েক সুবেদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর তার সহযোদ্ধারা অনেকেই ভারতে চলে যান কিন্তু তিনি যান নাই,এক পর্যায়ে তৎকালীন সামরিক শাসনের সময় গ্রেফতার হন। এবং ৪০ বছর তার জেল হয়। ৩৫ মাস রাজশাহী কারাগারে বন্দী জীবন কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন। তিনি ছিলেন পাবনার গণমানুষের নেতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের শীষ্য এবং একান্ত সহচর।

তাঁর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি’র সাথে অনেক স্মৃতিও রয়েছে।তিনি আরো জানান অনেক কাগজপত্র তাঁর এখন সংরক্ষনে নাই। ডিসি অফিস পাবনায় তৎকালীন সময়ের কাগজপত্র অনুসন্ধান করলে তাঁর অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর চোখ ভিজে আসে। তিনি জানালেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি এবং পরবর্তীতে যখন গেজেটের জন্য তালিকা চাওয়া হয় সেইসব তালিকায় অনেক অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অত্র এলাকার স্থানীয়রা জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে অনুরোধ জাতির সূর্য সন্তান রনাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হোক।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

কবে পাবেন রনাঙ্গনের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি!

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

মফস্বল সম্পাদক:
পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের পাড়াশিধাই গ্রামের মোঃ হাসমত আলী শেখ হাসু (৭৮)।
অভিমানি নিভৃতচারী ৭১’র রনাঙ্গনের প্রকৃত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাবনা জেলার রক্ষী বাহিনী ইউনিটে নায়েক সুবেদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর তার সহযোদ্ধারা অনেকেই ভারতে চলে যান কিন্তু তিনি যান নাই,এক পর্যায়ে তৎকালীন সামরিক শাসনের সময় গ্রেফতার হন। এবং ৪০ বছর তার জেল হয়। ৩৫ মাস রাজশাহী কারাগারে বন্দী জীবন কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন। তিনি ছিলেন পাবনার গণমানুষের নেতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের শীষ্য এবং একান্ত সহচর।

তাঁর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি’র সাথে অনেক স্মৃতিও রয়েছে।তিনি আরো জানান অনেক কাগজপত্র তাঁর এখন সংরক্ষনে নাই। ডিসি অফিস পাবনায় তৎকালীন সময়ের কাগজপত্র অনুসন্ধান করলে তাঁর অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর চোখ ভিজে আসে। তিনি জানালেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি এবং পরবর্তীতে যখন গেজেটের জন্য তালিকা চাওয়া হয় সেইসব তালিকায় অনেক অমুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অত্র এলাকার স্থানীয়রা জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে অনুরোধ জাতির সূর্য সন্তান রনাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হোক।

শেয়ার করুন