ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

এ বছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া : কৃষিমন্ত্রী

এবিসি ন্যাশনাল ডেক্স নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

এ বছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এবছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির। এছাড়া ফুলকপি, পেঁপে নিতেও আগ্রহী রাশিয়া। তারা বাংলাদেশে সার রপ্তানি অব্যাহত রাখবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি মন্ত্রীকে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু আছে। আগামীতেও থাকবে। রাশিয়ায় আম, ফুলকপি, পেঁপে প্রভৃতি রপ্তানি করা হবে। কৃষিপণ্যের গুণগতমানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা অবশ্যই পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করা হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোন রকম সংকট হবে না। তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা হলো ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন, এর বিপরীতে বর্তমান মজুত ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলে মোট মজুত হবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন। একইভাবে টিএসপির ২ লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টন, ডিএপির ৩ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টন এবং এমওপির ২ লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার টন।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটি করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করব, যাতে দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকেরাও যাতে দাম পায়, আবার মজুতদারিও যাতে না হয়।’’ তিনি বলেন, মজুতদারি এবং সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেদিকে সরকারের কঠোর নজর রয়েছে। 

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ চা এসোসিয়েশনের (বিটিএ) প্রতিনিধিদল। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং বিটিএ’র চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সালেক আহমেদ আবুল বশরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

বৈঠকে বিটিএ’র প্রতিনিধিদল চা-কে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কৃষিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। তারা জানান, কৃষিপণ্য হিসাবে গণ্য করা হলে কৃষিখাতের মতো চা শিল্পেও স্বল্প হারে বা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে এবং চা শিল্প টেকসই ও লাভজনক হবে। বৈঠকে বিটিএ প্রতিনিধিদল চা শিল্পে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে বিটিএ’র প্রতিনিধিদলকে এসময় জানান মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এ বছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া : কৃষিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:২০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

এ বছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এবছর বেশি পরিমাণ আম নিবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির। এছাড়া ফুলকপি, পেঁপে নিতেও আগ্রহী রাশিয়া। তারা বাংলাদেশে সার রপ্তানি অব্যাহত রাখবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি মন্ত্রীকে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু আছে। আগামীতেও থাকবে। রাশিয়ায় আম, ফুলকপি, পেঁপে প্রভৃতি রপ্তানি করা হবে। কৃষিপণ্যের গুণগতমানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা অবশ্যই পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করা হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বোরো মৌসুমে সারের কোন রকম সংকট হবে না। তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা হলো ৮ লাখ ৮৬ হাজার টন, এর বিপরীতে বর্তমান মজুত ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলে মোট মজুত হবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন। একইভাবে টিএসপির ২ লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৩ লাখ ৮৮ হাজার টন, ডিএপির ৩ লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টন এবং এমওপির ২ লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুত হবে ৫ লাখ ২৭ হাজার টন।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটি করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করব, যাতে দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকেরাও যাতে দাম পায়, আবার মজুতদারিও যাতে না হয়।’’ তিনি বলেন, মজুতদারি এবং সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেদিকে সরকারের কঠোর নজর রয়েছে। 

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ চা এসোসিয়েশনের (বিটিএ) প্রতিনিধিদল। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং বিটিএ’র চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সালেক আহমেদ আবুল বশরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

বৈঠকে বিটিএ’র প্রতিনিধিদল চা-কে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কৃষিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। তারা জানান, কৃষিপণ্য হিসাবে গণ্য করা হলে কৃষিখাতের মতো চা শিল্পেও স্বল্প হারে বা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে এবং চা শিল্প টেকসই ও লাভজনক হবে। বৈঠকে বিটিএ প্রতিনিধিদল চা শিল্পে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যাও তুলে ধরেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে বিটিএ’র প্রতিনিধিদলকে এসময় জানান মন্ত্রী।

শেয়ার করুন