ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কটকা ট্রাজেডি “শোক দিবস”-২০২৫ পালিত  খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত আছিয়ার ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ভূরুঙ্গামারীতে মানববন্ধন জয়পুরহাটে চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণকারী রুগীর সংবাদ সম্মেলন খুলনা জেলা পুলিশের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে -বগুড়ায় ইশরাক হোসেন বগুড়ায় ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ দৌলতপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত আটক  বগুড়ায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ভূরুঙ্গামারীতে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার

রাজশাহীতে কাজি খাদেমুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩ ২১৬ বার পড়া হয়েছে

 

মুক্তার মাহমুদ রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ নিবন্ধন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাল্য বিবাহ ও ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জলিল বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন শাহীমুল ইসলাম ডালিম। তিনি, রাজশাহী বাগমারার খালিমপুর গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার সহোযোগিতায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে (১১নং) গনিপুর ইউনিয়নে কাজি মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ মোজাম্মেল হক ছাড়াও তিনি অনেক সহকারী দ্বারা বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করেন এবং প্রত্যেকের নিকট অবৈধ্য বিবাহের ভলিউম বই আছে। প্রত্যেক সহকারীর নিকট দুইটি ভলিউম আছে একটিতে বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রী করে। অন্য ভলিউমে সঠিক বয়সের বিবাহ রেজিস্ট্রী করে। বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রী করার সময় তারা বলেন, বয়স পূর্ণ হওয়ার পর কাবিননামা পাবেন। নিকাহনামা (ফটোকপি) দেখা যায় যে, দুইবার স্বাক্ষর এবং দুইবার তারিখ। জেলা রেজিস্ট্রার নিকট ১১ নং গনিপুর ইউনিয়রে ২০২০ সালে এবং ২০২১ সালে বিবাহের সংখ্যা গোপন করে তথ্য দিয়েছেন।

একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার একটি ভলিউম বই ব্যবহার করার বিধান থাকলেও তিনি ১১ নং গনিপুর ইউনিয়নে একাধিক বই ব্যবহার করে থাকেন। তাদের এরুপ কার্যকলাপের বাল্য বিবাহের সংখ্যা বাড়ছে এবং প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ৯নং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ নিবন্ধনকারীদের লাইসেন্স বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।

বিয়ে দিবো ৫ লাখ টাকা কাবিন হবে এতে খরচ কত পড়বে ? মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, কাজি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, হাজারে ১৪ টাকা ৫লাখ টাকায় খরচ পড়বে ৭ হাজার টাকা। কোন রেজিস্ট্রি খাতায় বিয়ে দেবেন? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খাদেমুল ইসলামের রেজিস্ট্রি বহিতে বিয়ে হবে।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কাজি মোঃ মোজাম্মেল হক ও মোঃ রবিউল ইসলাম তারা দু’জনই একই কথা বলেন এবং খাদেমুল ইসলামের রেজিস্ট্রি বহিতে বিবাহ ও নিকাহ’র কাজ করেন বলেও স্বিকার করেন। এছাড়াও খাদেমুল ইসলামের সহযোগী কাজি হিসেবে কাজ করেন, ১১নং গনিপুর ইউনিয়নের মহনগঞ্জের মোঃ আলতাফ মন্ডল, পুড়া বায়ার মোঃ আব্দুল জব্বার, হাসনিপুরের মোঃ খোরসেদ, বাসু বোয়ালিয়ার মোঃ গোলাম রাব্বানী প্রমূখ।

নিয়ম বহিভূত ভাবে একধিক ভলিয়মে বিবাহ্ রেজিস্ট্রি করার বিষয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ খাদেমুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১১নং গনিপুর ইউনিয়নে ১৮ জুন ২০১৭ অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। পরবর্তীর্তে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি তার মনে নেই। ২০০৯ গেজেট অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়িত্ব কতদিন করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না দেখে বলতে পারবোনা। গনিপুর ইউনিয়নে তার সহকারী কতজন আছে? উত্তরে তিনি সাত জনের কথা বলেন। তার কাছে ভলিয়ম বই একাধীক নয় ১টি আছে বলে জানান। তবে একদিনে একাধীক বিয়ের হলে কিভাবে কাজ করেন? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ২০২০/২১ সালে বিবাহের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানানো হয়নি। ৬/৭জন সহকারী রাখার বিষটি জেলা রেজিস্ট্রার অবগত আছেন কি? তার কোন উত্তর দেননি তিনি। নিকাহ্ নামা কপিতে দুইটি স্বাক্ষর এবং দুইটি তারিখ আছে, কোনটা সঠিক বলে ধরে নিবো ? উত্তরে বলেন, না দেখে বলতে পারবোনা। আপনার বিরুদ্ধে সাব রেজিস্ট্রার তদন্ত করছেন কি ? উত্তরে সঠিক বলে স্বিকার করেন তিনি।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে, রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজি মোঃ নূরুল আলম জানান, ২০০০ সালে গনিপুর, শ্রীপুর ও হামিরকুৎসা তিনটি ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন কাজি মোঃ আব্দুল জাব্বার। তিনটি ইউনিয়নে আইন-বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রানালয় ৩জনকে নিকাহ রেজিস্ট্রার প্রদান করেন। এর মধ্যে মোঃ আব্দুল জাব্বার ২০০৬ সালে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। মামলা নং-১৪৮২/২০০৬। আইন-বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রানালয়ে মোঃ আব্দুল জাব্বার ৩টি ইউনিয়নের বিষয়ে আবেদন করিলে সিনিয়র সহকারী সচিব, এএইচএম শামসুল আরেফিন গত ইং ২৮/০৫/২০০৬ সালে ৩জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিবাহ তালাক কার্যক্রম রেজিস্ট্রি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর গত ০১/০৬/২০০৬ তারিখে জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ সরকার ৩জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিবাহ তালাক কার্যক্রম রেজিস্ট্রি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরও মোঃ খাদেমুল ইসলাম ১১নং গরিপুর ইউনিয়নে তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বর্তমানে ৪/৫জন সহকারী দ্বারা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তার লাইসিন্স বাতিল যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল জাব্বার জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট মোঃ খাদেমুল ইসলাম ও রেজাউল করিম নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে জেলা রেজিস্ট্রার সাব-রেজিস্ট্রার ভবানীগঞ্জ মোঃ মাসুদ রানার নিকট তদন্তভার অর্পন করেন। কিন্তু সেই তদন্তের কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি আজও।

এ ব্যাপারে বাগমারা উপজলার সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ রানা জানান, আমি রাজশাহীতে নতুন এসেছি। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সার্বিক তদন্তের দায় ভার আমাকে দিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছিনা। তবে কাজিদের তার সহযোগীতার বিষয়টি অস্বিকার করেন।

রাজশাহী জেলা রেজিষ্ট্রার মতিউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহীতে কাজি খাদেমুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

 

মুক্তার মাহমুদ রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ নিবন্ধন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাল্য বিবাহ ও ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জলিল বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন শাহীমুল ইসলাম ডালিম। তিনি, রাজশাহী বাগমারার খালিমপুর গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার সহোযোগিতায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে (১১নং) গনিপুর ইউনিয়নে কাজি মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ মোজাম্মেল হক ছাড়াও তিনি অনেক সহকারী দ্বারা বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করেন এবং প্রত্যেকের নিকট অবৈধ্য বিবাহের ভলিউম বই আছে। প্রত্যেক সহকারীর নিকট দুইটি ভলিউম আছে একটিতে বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রী করে। অন্য ভলিউমে সঠিক বয়সের বিবাহ রেজিস্ট্রী করে। বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রী করার সময় তারা বলেন, বয়স পূর্ণ হওয়ার পর কাবিননামা পাবেন। নিকাহনামা (ফটোকপি) দেখা যায় যে, দুইবার স্বাক্ষর এবং দুইবার তারিখ। জেলা রেজিস্ট্রার নিকট ১১ নং গনিপুর ইউনিয়রে ২০২০ সালে এবং ২০২১ সালে বিবাহের সংখ্যা গোপন করে তথ্য দিয়েছেন।

একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার একটি ভলিউম বই ব্যবহার করার বিধান থাকলেও তিনি ১১ নং গনিপুর ইউনিয়নে একাধিক বই ব্যবহার করে থাকেন। তাদের এরুপ কার্যকলাপের বাল্য বিবাহের সংখ্যা বাড়ছে এবং প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ৯নং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ খাদেমুল ইসলাম তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ নিবন্ধনকারীদের লাইসেন্স বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।

বিয়ে দিবো ৫ লাখ টাকা কাবিন হবে এতে খরচ কত পড়বে ? মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, কাজি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, হাজারে ১৪ টাকা ৫লাখ টাকায় খরচ পড়বে ৭ হাজার টাকা। কোন রেজিস্ট্রি খাতায় বিয়ে দেবেন? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খাদেমুল ইসলামের রেজিস্ট্রি বহিতে বিয়ে হবে।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কাজি মোঃ মোজাম্মেল হক ও মোঃ রবিউল ইসলাম তারা দু’জনই একই কথা বলেন এবং খাদেমুল ইসলামের রেজিস্ট্রি বহিতে বিবাহ ও নিকাহ’র কাজ করেন বলেও স্বিকার করেন। এছাড়াও খাদেমুল ইসলামের সহযোগী কাজি হিসেবে কাজ করেন, ১১নং গনিপুর ইউনিয়নের মহনগঞ্জের মোঃ আলতাফ মন্ডল, পুড়া বায়ার মোঃ আব্দুল জব্বার, হাসনিপুরের মোঃ খোরসেদ, বাসু বোয়ালিয়ার মোঃ গোলাম রাব্বানী প্রমূখ।

নিয়ম বহিভূত ভাবে একধিক ভলিয়মে বিবাহ্ রেজিস্ট্রি করার বিষয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ খাদেমুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১১নং গনিপুর ইউনিয়নে ১৮ জুন ২০১৭ অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। পরবর্তীর্তে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি তার মনে নেই। ২০০৯ গেজেট অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়িত্ব কতদিন করতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না দেখে বলতে পারবোনা। গনিপুর ইউনিয়নে তার সহকারী কতজন আছে? উত্তরে তিনি সাত জনের কথা বলেন। তার কাছে ভলিয়ম বই একাধীক নয় ১টি আছে বলে জানান। তবে একদিনে একাধীক বিয়ের হলে কিভাবে কাজ করেন? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান।

জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ২০২০/২১ সালে বিবাহের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানানো হয়নি। ৬/৭জন সহকারী রাখার বিষটি জেলা রেজিস্ট্রার অবগত আছেন কি? তার কোন উত্তর দেননি তিনি। নিকাহ্ নামা কপিতে দুইটি স্বাক্ষর এবং দুইটি তারিখ আছে, কোনটা সঠিক বলে ধরে নিবো ? উত্তরে বলেন, না দেখে বলতে পারবোনা। আপনার বিরুদ্ধে সাব রেজিস্ট্রার তদন্ত করছেন কি ? উত্তরে সঠিক বলে স্বিকার করেন তিনি।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে, রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজি মোঃ নূরুল আলম জানান, ২০০০ সালে গনিপুর, শ্রীপুর ও হামিরকুৎসা তিনটি ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন কাজি মোঃ আব্দুল জাব্বার। তিনটি ইউনিয়নে আইন-বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রানালয় ৩জনকে নিকাহ রেজিস্ট্রার প্রদান করেন। এর মধ্যে মোঃ আব্দুল জাব্বার ২০০৬ সালে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। মামলা নং-১৪৮২/২০০৬। আইন-বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রানালয়ে মোঃ আব্দুল জাব্বার ৩টি ইউনিয়নের বিষয়ে আবেদন করিলে সিনিয়র সহকারী সচিব, এএইচএম শামসুল আরেফিন গত ইং ২৮/০৫/২০০৬ সালে ৩জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিবাহ তালাক কার্যক্রম রেজিস্ট্রি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর গত ০১/০৬/২০০৬ তারিখে জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ সরকার ৩জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিবাহ তালাক কার্যক্রম রেজিস্ট্রি না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরও মোঃ খাদেমুল ইসলাম ১১নং গরিপুর ইউনিয়নে তাঁর অধিক্ষেত্রের বাইরে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বর্তমানে ৪/৫জন সহকারী দ্বারা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তার লাইসিন্স বাতিল যোগ্য।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল জাব্বার জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট মোঃ খাদেমুল ইসলাম ও রেজাউল করিম নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে জেলা রেজিস্ট্রার সাব-রেজিস্ট্রার ভবানীগঞ্জ মোঃ মাসুদ রানার নিকট তদন্তভার অর্পন করেন। কিন্তু সেই তদন্তের কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি আজও।

এ ব্যাপারে বাগমারা উপজলার সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ রানা জানান, আমি রাজশাহীতে নতুন এসেছি। উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সার্বিক তদন্তের দায় ভার আমাকে দিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছিনা। তবে কাজিদের তার সহযোগীতার বিষয়টি অস্বিকার করেন।

রাজশাহী জেলা রেজিষ্ট্রার মতিউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন