গাংনীতে কবরস্থানের রাস্তা সংক্রান্ত মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ১০:১৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে কবরস্থানের রাস্তা সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি), বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের কড়ুইগাছি গ্রামের কবরস্থানের রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কড়ুইগাছি গ্রামবাসীর আয়োজনে ও গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কড়ুইগাছি কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন আলী, আবু হানজালা, ইস্রাফিল হুসাইন উজ্জল, ফজলুল হক ও রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ বক্তব্য রাখেন।
এসময় শতশত নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরা পর্যন্ত কড়ুইগাছি গ্রামের কবরস্থানের পাশে মেইন রাস্তা থেকে কবরস্থান পর্যন্ত দীর্ঘ দু’টি লাইনে অবস্থান নেন এবং কবরস্থানের রাস্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রামের কয়েকজনকে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ উত্থাপন করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্রামের সবার জন্যই কবরস্থান উন্মুক্ত। কবরস্থানের প্রবেশ মুখে সামান্য একটু জমির কারণে রাস্তা বন্ধ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ওই জায়গার মালিক হানজালা আড়াই শতক জমি কবরস্থানের নামে দান করেন। তখন থেকে কবরস্থানের রাস্তায় মাটি ফেলা শুরু হয়। গ্রামের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে প্রায় সকলে মিলে কবরস্থানের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন। এরই মাঝে কড়ুইগাছি গ্রামের মৃত আফছার উদ্দিনের ছেলে গোলাম জাকারিয়া ও মৃত ফাকের আলী মন্ডলের ছেলে গোলাম রসুল আড়াই শতক জমি নিজেদের দাবি করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ তুলে মেহেরপুর আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন দায়ের করেন। যা তদন্তানাধীন রয়েছে। অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে কবরস্থান উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা কড়ুইগাছি গ্রামের হানজালা, মোশারফ হোসেন, মঞ্জুর রহমান, জয়নাল উদ্দিন, জমশেদ আলী, জামাল উদ্দিন, ফজলুল হক ও ওয়াহেদ আলীকে। অভিযুক্তদের মধ্যে এমন একজন রয়েছে যিনি ভিসা ইস্যুর কাজে উক্ত সময়ে গ্রামেই ছিলেন না।
বক্তারা বলেন, হানজালা তার ক্রয় করা সম্পত্তি দান করেছেন। এখানে কোন প্রকার জটিলতা নেই। গোলাম জাকারিয়া ও গোলাম রসুল পক্ষ চাই না যে, গ্রামে কবরস্থান কিংবা রাস্তা হোক। একারণে তারা ব্যক্তি স্বার্থে গ্রামের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের ক্ষমতার জোরে গ্রামের মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ একদিকে হয়রানি অন্য দিকে অন্য কোন মামলায় গ্রেফতারের হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনারা।