আত্রাইয়ে নতুন বছরে নিম্ন আয়ের মানুষের আস্থা টিসিবির পণ্যে
- আপডেট সময় : ০৩:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নওগাঁ থেকে:
নওগাঁর আত্রাইয়ে সরকারি বিপণন সংস্থা ‘ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করছে।নতুন বছরে নিম্ন আয়ের মানুষের আস্থা টিসিবির পণ্যে।
শুধু নিম্ন আয়ের মানুষেরাই নয় পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষরাও এখন টিসিবির পণ্য সামগ্রী নিতে আগ্রহী।বাজারে টিসিবি’র সামগ্রী সে ভাবে না পাওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের চাহিদা ও উপস্থিতির তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পণ্য দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলার।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি ) সকাল থেকে উপজেলার ভবাণীপুর বাজার এলাকায় চিনি, ডাল, তৈল,প্রতি মাসে মেসার্স এ এন্ড এস ট্রেডিং ডিলার শ্রী সুপবিত্র ঘোষ টিসিবির পন্য সামগ্রি সরবরাহ করে আসছে। । কুয়াশা আর শীতকে উপেক্ষা করে স্বল্পমূল্যে এসব খাদ্যপণ্য পেতে ভিড় করছে শত শত নারী-পুরুষ। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবি পন্যে সুবিধা পেয়ে খুব খুশি তাঁরা।
ভোক্তার সুবিধার্থে প্রতি মাসের নির্ধারিত দুই দিন টিসিবি পণ্য সরবরাহ করা হবে।
টিসিবির পণ্য কিনতে আসা তাপসী রাণী জানান,জিনিস পত্রের আকাশ ছোঁয়া দাম।সংসার খরচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখিতে জীবন বাঁচানো দায়,এই পরিস্থিতিতে টিসিবির পণ্য আমাদের একটু হলেও পরিবার পরিজন নিয়ে টিকে থাকতে পরছি।
নতুন বছরে টিসিবি পণ্য নিতে আসা আটো ভ্যান গাড়ি চালক
মো. ইয়ানুছ আলী জানান,ছয়জনের সংসার বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমূখী খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করতে হচ্ছে। টিসিবি’র পণ্যে একটু হলেও স্বস্তি বিরাজ করছে জন জীবনে।ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের টিসিবি নিতে কার্ড করে দিয়েছে।এতে অনেক সুবিধা কার্ড আর টাকা দিলে সাথে সাথে পণ্য সামগ্রী পাওয়া যায়।
এদিকে টিসিবি ডিলার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি প্যাকেজে ২ লিটার সয়াবিন তৈল,২ কেজি মশুর ডাল,১ কেজি চিনি যার নির্ধারিত মূল্য ৪২০ টাকা।
এ ব্যাপারে সাহাগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.মামুনুর রশীদ জানান,আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি সরকার নির্ধারিত টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী খেটে খাওয়া মানুষ যাতে নিতে পারে। ফ্যামিলি কার্ডে নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে টিসিবি পণ্য দিতে পেরে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমাদের চাহিদার তুলনায় টিসিবি পণ্য সামগ্রিই কম হওয়ায় একটু অসুবিধা হলেও
নিম্ন আয়ের মানুষের আস্থা বর্তমান টিসিবির পণ্যে।
সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য একজন ট্যাগ অফিসারসহ গ্রাম পুলিশের উপস্থিত নিশ্চিত করা হয়েছে।