আবারও উত্তাপ বাড়ছে চালের বাজারে।
- আপডেট সময় : ১২:২৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
আবারও উত্তাপ বাড়ছে চালের বাজারে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় বেড়েছে আমদানি চালের দাম। এছাড়া একই সাথে বাড়ছে দেশীয় চালের দামও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের মোকাম থেকে বাজারে পর্যাপ্ত চাল আসছে না। অধিকাংশ মোকামের মালিক চাল মজুদ করে রেখেছেন শুনেছি। তবে ভোক্তারা বলছেন, চালের বাজার দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের এদিকে নজর নেই। এখন শুনছি চালের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করান। সুতরাং সাধারণ ভোক্তা শ্রেণীর কথা চিন্তা করে প্রশাসনকে চালের বাজারে নজরদারি বাড়ানো দরকার।
গতকাল নগরীর দুই প্রধান চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিনের ব্যবধানে বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, পাইজাম সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ, বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধের দাম সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন ও চ্যানেল সিক্স বাংলা টেলিভিশন, দৈনিক প্রথম ডাক, এবিসি ন্যাশনাল নিউজ এর চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম চাক্তাইয়ের বাজার পরিদর্শন কামরুল এই সময় চালের আড়তদাররা জানান, বর্তমানে পাইকারিতে দেশী বেতি আতপ ১০০ টাকা বেড়ে ৫০ কেজির ওজনের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা, পাইজাম আতপ ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৭০০ টাকা এবং ভারতীয় বেতী আতপ বস্তায় ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। অপরদিকে মোটা সিদ্ধ প্রতি বস্তা ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ টাকায়। এছাড়া মিনিকেট সিদ্ধ ২৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৯০০ টাকা এবং মিনিকেট আতপ ২০০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে পাইজাম সিদ্ধ ১৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৭০০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ২০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং কাটারিভোগ সিদ্ধ ১০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ বলেন, অনেকে ব্যাংক এলসি খুলছে না। তাই আমদানি চালের দাম চড়া। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশীয় চালের দাম। এছাড়া ধানের দামও বাড়তি। বর্তমানে মোটা ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। এছাড়া ২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। আর ১৫ দিন পর কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠবে। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যম কে বলেন, উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলোতে যেভাবে চাল আসা কমে গেছে, মনে হচ্ছে চালের দাম আরো বাড়বে। এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমদানি চালের বাজার চড়া। তবে এই মুহূর্তে দেশীয় চালের বাজার স্বাভাবিক থাকার কথা। বিষয়টিতে সরকারকে নজর দিতে হবে।