সিত্রাং এর আঘাতে বাঁশখালীতে ২০ কিমি বেড়িবাঁধ লাপাত্তা হয়েছে
- আপডেট সময় : ১১:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বাঁশখালী উপজেলার বেড়িবাঁধ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে লাপাত্তা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫/৬ ফুট বেশি পানি হয়। এতে জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাঁধের প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। অপরদিকে উপকূলীয় এলাকা জুড়ে সাগরের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক চিংড়ি ঘেরের কোটি টাকার মাছ। ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়ে যারা মাছ চাষ করেছেন তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
সরলের ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর সরল এলাকার মো. ফরিদ আহমদের পুত্র মাছ চাষি মো. ফারুক জানান, আমাদের তিনটি মাছের প্রজেক্ট মোস্তাফিজ ঘোনা, টেইট্যা ঘোনা ও খইল্যা ঘোনা থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকার কোরাল, খরুল, বাটা ও চিংড়ি মাছ সাগরের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রকল্পের শেয়ারদার শাহাদত কবির মানিক সারারাত মাছের ঘের রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশিদ জানান, ছনুয়ার ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের জনগণ এখনও পানিবন্দী, বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে জনগণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। এদিকে জোয়ারের প্রবল স্রোতে বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নে প্রায় ৪ কিলোমিটার, শেখেরখীল ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার, গন্ডামারা ইউনিয়নে ৩ কিলোমিটার, সাধনপুর ইউনিয়নে ১.৫ কিলোমিটার, চাম্বলে ০.৬৫ কিলোমিটার, সরল ইউনিয়নে ০.৫০ কিলোমিটার, খানখানাবাদ ইউনিয়নে ১ কিমি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ অংশে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় নির্ঘুম রাত কাটায় বাঁশখালীর উপকূলীয় খানখানাবাদ, সরলের জালিয়াখালী বাজার সংলগ্ন কাহারঘোনা, মিনজীরিতলা, বাহারছড়া, গন্ডামারা, ছনুয়ার খুদুকখালী, ছনুয়ার টেক শেখেরখীল, শীলকুপের মনকিচর, পুঁইছড়ি, সাধনপুর, কাথরিয়াসহ অন্যান্য এলাকার লোকজন। বেশ কিছু এলাকা দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় ফসলী ও ধানি জমির ফসল নষ্ট হয় বলে জানা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, দুর্যোগে প্রায় সাড়ে চার হাজার বাড়িঘর আংশিক এবং শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তসহ ফসলী ক্ষেত, বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।