মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আওয়ামী নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে বিএনপি নেতা জনসভা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুকসদুপুর উপজেলা বিএনপি ,যুবদল ও ছাত্রদলেন নেতা কর্মিরা ।
গত ১৯ অক্টোবর সকাল ১১ টায় উপজেলার ভাবড়াসুর ইউনিয়নের কালিনগর উচ্ছবিদ্যলয়ে মাঠে দুলাল চন্দ্র মন্ডলের সভাপত্বিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিরি আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেসবাহ, সাবেক মুকসুদপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি,বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান ও আওয়ামী সরকারের আমলে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের বদবীহিন নেতা আহাজ্জাদ মাহসিন খিপু মিয়া, সৈয়দ কামরুজ্জামান টুটুল , মোচনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ সেখসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক উপজেলার বিএনপির নেতা র্কমিদের বিরুদ্ধে চাদাবাজীর অভিযোগ তোলেন আওয়ামী নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে ।
তিনি আরো বলেন, শুধু আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের নয় অনেককে মামলার ভয় দেখিয়ে চাদাবাজী করছেন । আমি যদি গোপালগঞ্জ ০১ এই আসন থেকে র্নিবাচন করি বা দলীয় ভাবে যদি মনোনয়ন পাই তা হলে নির্বাচন করবো ।
সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, আমার জনসভায় বিএনপিসহ সকল সহযোগি সংগঠনের কোন পদ ধারী কোন নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন না ।
তবে আওয়ামী নেতা কর্মিদের নিয়ে জনসভা করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এটা আমার জানা নেই ।
জনসভা দুলাল চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে হয়েছে তিনি কোন দলীয় পদ ব্যবহার করেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুলাল চন্দ্র মন্ডলের কোন দলীয় পরিচয় নেই। তবে তিনি একজন প্রবীন সাবেক শিক্ষক ।
সাবেক মুকসুদপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি,বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান ও আওয়ামী সরকারের আমলে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের পদবীহিন নেতা আহাজ্জাদ মাহসিন খিপু মিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খিপু মিয়া আওয়ামীলীগে যোগ দান করেনি । বাস মালিক সমিতির সভাপতি হিসাবে সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী ফারুক খানকে এমনি মালা পরিয়ে দিয়ে ছিলেন ।
এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ১৭ বছর বিএপির এই কেন্দ্রীয় নেতাকে এলাকায় দেখা যায়নি তিনি এখন আওয়ামীলীগকে পূর্ন বাসন করার জন্য এলাকায় এসেছেন। আমাদের বিপদে আপদে সব সময় খোজ রাখেন ঢাকা বিএনপির বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জআমান সেলিম।
পৌর ছাত্র দলের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, আজ যে জনসভা হয়েছে আওয়ামীলীগের বিএনপির নয়।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুম বলেন, বিষেষ একটি মহলকে বাচাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মিদের নিয়ে জনসভা করছেন।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ তারেকুল ইসলাম রাজু বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে এলাকায় কোন খোজ এই কেন্দ্রীয় নেতা মেসবাহ সাহেবের,সম্পর্ক নেই দলীয় কোন নেতা কর্মির সাথে ।
হঠাৎ বসন্তের ককিলের মত এলাকায় এসে আমাদের কোন দলীয় নেতা কর্মিদের দাওয়াত না দিয়ে আওয়ামী নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে তাদের পূর্ন বাসন করতে বিএনপির ব্যানারে জনসভা করছেন ।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঃ ছালাম খান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেসবাহ সাহেব আওয়ামী নেতা কর্মিদের রক্ষা করতে ও তাদের পূর্ন বাসন করতে এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে জনসভা করছেন । জনসভায় বিএনপিসহ কোন সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলনা । তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ তুলছেন। তিনি গত ১৭ বছরে এলাকায় আসেনি। আমাদের বিপদে আপদে সব সময় খোজ খবর রাখছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। তিনি ২৭ বছর ধরে বিএনপিসহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মিদের সাথে রয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সহরে রাত ৮ টা ১০ মিনিটের দিকে বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদীনকে সতর্ক করে বলেন, আপনি আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি’র ব্যানারে জনসভা করছেন এবং গোপালগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা ঢাকা বিএনপি’র বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য রেখেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে আপনার বক্তব্য প্রত্যার করা না হলে গোপালগঞ্জে আপনাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ নেতারা এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের পাচুরিয়া থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট এলাকায় এসে শেষ হয়।