ব্রেকিং নিউজঃ
সিরাজগঞ্জে ৩টি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা গ্রেফতার
আরিফুল ইসলাম সুমন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
- আপডেট সময় : ১২:২৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
আরিফুল ইসলাম সুমন,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ০৪ই আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণ করে ছাত্র জনতা হত্যা সংক্রান্তে দায়েরকৃত ৩টি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ক্যাডার আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা’কে কক্সবাজারের কলাতলী বিচ এলাকা হতে র্যাব-১২ এবং র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) রাতে লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন এম আবুল হাশেম সবুজ,লেঃ কমান্ডার বিএন ও কোম্পানী কমান্ডার র্যাব-১২, সদর কোম্পানী, সিরাজগঞ্জ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ৫ অক্টোবর আনুমানিক ১৮.৪০ ঘটিকার সময় র্যাব-১২ এবং র্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল “কক্সবাজারের সদর থানাধীন পৌরসভার কলাতলী বিচ এলাকা” থেকে যৌথ অভিযানে ক্যাডার আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা (৪২), সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার পৌর এলাকা দত্তবাড়ি মৃত ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানু ছেলেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী বিগত সময়ে সাবেক এমপি’র প্রধান ক্যাডার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। এছাড়াও গত ০৪ই আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে হামলা চালানোর কথাও স্বীকার করে, যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে আরও জানায় যে, বর্ণিত হত্যা মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে গ্রেফতার এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। এরই ফলশ্রুতিতে সে কক্সবাজারে আত্মগোপনে থেকে সুযোগ বুঝে দেশের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আবু মুছা ওরফে মুছা’র বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ০৩টি হত্যা মামলা সংক্রান্তে তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।