দৌলতপুর কলেজে দুই সপ্তাহে ৩ বার কমিটি পরিবর্তন, মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
- আপডেট সময় : ১০:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১১ বার পড়া হয়েছে
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে গত দুই সপ্তাহে ৩ বার গভর্নিং বডির এডহক কমিটির পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বের কমিটি পরিবর্তন করে দৌলতপুর কলেজে এডহক কমিটি গঠনের নতুন চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গভর্নিং বডি গঠন সংক্রান্ত অধিভূক্ত সকল কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে গভর্নিং বডি (সংশোধন) সংবিধি ২০১৯ এর ৭নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে অত্র দৌলতপুর কলেজের এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. আজিজুল হকের মনোনয়ন পরিবর্তন পূর্বক তদস্থলে সভাপতি হিসেবে মোহা. আলতাফ হোসেন এবং বিদ্যোৎসাহী মো. ফজলুর রহমানের মনোনয়ন পরিবর্তন পূর্বক তদস্থলে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মোহা. আলাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হলো। ওই চিঠিতে অত্র এডহক কমিটির মেয়াদকাল আগামী ১৬ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত উল্লেখ করে এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে কলেজের অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান খান বিধি বহির্ভূতভাবে গত তারিখে ১৭/০৯/২০২৪ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আমানুল হককে সভাপতি ও রেদওনুর রহমানকে বিদ্যুৎসাহসী করে এডহক কমিটির চিঠি ইস্যু করায়। তার একদিন পরই আরেক চিঠিতে আমানুল হককে একইভাবে পরিবর্তন করে সভাপতি করা হয় তারই ছোট ভাই মো. আজিজুল হককে এবং বিদ্যুৎসাহী করা হয় মো. ফজলুর রহমানকে। গত ২৫/০৯/২০২৪ এই কমিটি প্রথম সভাও করে কলেজে। সর্বশেষ গত ৩/১০/২০২৪ তারিখে নতুন চিঠি দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ৩ বার দৌলতপুর কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও পরিবর্তন নিয়ে কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার ফলে কলেজের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর থেকে কলেজে অনুপস্থিত কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুজ্জামান খান। প্রথম কমিটি ইস্যু হওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য কলেজে এসেই সটকে পড়েন অধ্যক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবীতে একাধিকবার বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ও দুর্নীতির তথ্য প্রমান পাওয়ায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আমিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব দেন কমিটি। একারণেই অধ্যক্ষ সাদিকুজ্জামান খান নিজে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার পরও কৌশলে উপজেলা বিএনপির একটি অংশের উপর ভর করে কলেজ নিয়ে নানান খেলা খেলছেন বলে শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিমত।