এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত  পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী বিশেষ অভিযান ২৪ কোটির বেশি টাকা জরিমানা আদায় এবং ৬৪৮টি ইটভাটা বন্ধ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সবিচ মহাস্থান মাজার পরিদর্শন শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়ে যৌথ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় পলাশ হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জন গ্রেফতার  খুলনা সদর শাহিন হত্যা মামলার ৩ আসামী আটক অতঃপর আদালতে ২ আসামীর স্বীকারোক্তি খুলনা কেএমপির সদর থানা পুলিশ ২৯০ কেজি চোরাই লোহাসহ ১ জন আটক বরগুনার আমতলীতে “গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক” ২০২৫ পালিত  কুড়িগ্রামে ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ পদযাত্রা পালিত  জয়পুরহাট জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ এর দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম সমাপ্তি

ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ :- ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জজ আদালতের কর্মচারী সবীব দত্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব আধুনিক ভিআইপি হলরুমে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা জজ আদালতের সাবেক কর্মচারী সবীব দত্ত লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলাম। ২০০৮ সালে তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা জজ রুহুল আমিন খন্দকার (বর্তমানে চাকুরীচ্যুত) অজ্ঞাত কারনে আমাকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা জজ আদালতে বদলী করেন। সেখানেই ২০২২ অবধি চাকুরীরত ছিলাম। ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলায় জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে লা মং (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) কর্মরত ছিলেন। এ সময় বান্দরবান বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিভিন্ন পদে প্রায় ৩০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে বিশেষ কারনে নাজির, ডেসপাস সহকারী ও স্টেনোগ্রাফার এই ৩ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঐ অবস্থায় উল্লেখিত ৩টি পদে নিয়োগ না দেওয়ার কারনে তৎকালীন বান্দরবানের সাবেক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালের ২২ মার্চ বান্দরবান আইনজীবী ভবনে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ লা মং এর অবসরজনিত বিদায় অকথ্য ভাষায় কটাক্ষ করে অপমানমূলক বক্তব্য দিলে আমি প্রতিবাদ করি। অনুষ্ঠান শেষে বিচারক মো আজিজুল হক এবং বান্দবারের সাবেক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে গালিগালাজ করেন এবং পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করে শত্রুতা বশত: ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী ও ষড়যন্ত্র প্রতিহিংস্যা মূূলক মামলা দেন। বিনা অপরাধে ১৩ মাস কারাবন্দি রাখা হয় আমাকে। গ্রেফতারের প্রায় ১৭ ঘন্টা পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও দায়ের করা হয়। সে সময় আমাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেন। এ সময় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঐ সময়ের দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং নথি চুরির মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় এবং আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট সবিনয় আকুল আবেদন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ :- ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,
ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জজ আদালতের কর্মচারী সবীব দত্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব আধুনিক ভিআইপি হলরুমে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা জজ আদালতের সাবেক কর্মচারী সবীব দত্ত লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলাম। ২০০৮ সালে তৎকালীন ঠাকুরগাঁও জেলা জজ রুহুল আমিন খন্দকার (বর্তমানে চাকুরীচ্যুত) অজ্ঞাত কারনে আমাকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা জজ আদালতে বদলী করেন। সেখানেই ২০২২ অবধি চাকুরীরত ছিলাম। ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলায় জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে লা মং (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) কর্মরত ছিলেন। এ সময় বান্দরবান বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিভিন্ন পদে প্রায় ৩০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে বিশেষ কারনে নাজির, ডেসপাস সহকারী ও স্টেনোগ্রাফার এই ৩ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঐ অবস্থায় উল্লেখিত ৩টি পদে নিয়োগ না দেওয়ার কারনে তৎকালীন বান্দরবানের সাবেক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালের ২২ মার্চ বান্দরবান আইনজীবী ভবনে তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ লা মং এর অবসরজনিত বিদায় অকথ্য ভাষায় কটাক্ষ করে অপমানমূলক বক্তব্য দিলে আমি প্রতিবাদ করি। অনুষ্ঠান শেষে বিচারক মো আজিজুল হক এবং বান্দবারের সাবেক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে গালিগালাজ করেন এবং পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করে শত্রুতা বশত: ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানী ও ষড়যন্ত্র প্রতিহিংস্যা মূূলক মামলা দেন। বিনা অপরাধে ১৩ মাস কারাবন্দি রাখা হয় আমাকে। গ্রেফতারের প্রায় ১৭ ঘন্টা পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও দায়ের করা হয়। সে সময় আমাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেন। এ সময় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঐ সময়ের দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারনে আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং নথি চুরির মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় এবং আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট সবিনয় আকুল আবেদন করছি। সংবাদ সম্মেলনে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন