ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং 

MD JAHANGIR RAZIB RAZU
  • আপডেট সময় : ১১:০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন
অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং

এবিসি ন্যাশনাল ডেস্ক নিউজ:চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশের যাত্রার প্রতি তার অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বিকেলে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “চীন বাংলাদেশকে চারটি উপায়ে- অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ দিয়ে সাহায্য করবে।”
দুই নেতার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান জানান, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তার জন্য কীভাবে চার ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে- সে ব্যাপারে দুই দেশের কারিগরি কমিটি একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরো বলেন, চীন থেকে একটি কারিগরি কমিটি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
ড. হাছান জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গা বিষয়টি উত্থাপনের আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট ইস্যুটি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।
শি জিনপিং বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করব।’
তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের আবেদন জানালে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বাংলাদেশে ক্রমাগত আরও বিনিয়োগ করতে চাই।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক দশকে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি অনুপ্রেরণা।’
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো কিছু আইকনিক অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
শি জিনপিং বলেন, ‘আমরা, দুটি দেশ, আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি। এই উদযাপন উপলক্ষ্যে আমরা বিদ্যমান কৌশলগত সম্পর্ককে দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে যেতে চাই।’
শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং ব্যবধান কমাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করব।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাস্তবায়নাধীন আইটি ভিলেজগুলোতে আরও বিনিয়োগ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে শি বলেন, তারা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চান। চীনের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় চীন ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে চীনের সহায়তাও চেয়েছেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি দেশের জন্য কৃষিতে স্বাবলম্বী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কারিগরি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশকে এ খাতে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
শি জিনপিং আরও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
উভয় নেতা আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
শি বলেছেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করা সুরাজনৈতিক দলগুলির জন্য অধিকতর জরুরি।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং 

আপডেট সময় : ১১:০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সমর্থন
অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিলেন শি জিনপিং

এবিসি ন্যাশনাল ডেস্ক নিউজ:চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশের যাত্রার প্রতি তার অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ বিকেলে গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “চীন বাংলাদেশকে চারটি উপায়ে- অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ দিয়ে সাহায্য করবে।”
দুই নেতার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান জানান, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার মধ্যে অত্যন্ত সফল আলোচনা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তার জন্য কীভাবে চার ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে- সে ব্যাপারে দুই দেশের কারিগরি কমিটি একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরো বলেন, চীন থেকে একটি কারিগরি কমিটি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
ড. হাছান জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গা বিষয়টি উত্থাপনের আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট ইস্যুটি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।
শি জিনপিং বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করব।’
তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের আবেদন জানালে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বাংলাদেশে ক্রমাগত আরও বিনিয়োগ করতে চাই।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী গত কয়েক দশকে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি অনুপ্রেরণা।’
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো কিছু আইকনিক অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
শি জিনপিং বলেন, ‘আমরা, দুটি দেশ, আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি। এই উদযাপন উপলক্ষ্যে আমরা বিদ্যমান কৌশলগত সম্পর্ককে দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে যেতে চাই।’
শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং ব্যবধান কমাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করব।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাস্তবায়নাধীন আইটি ভিলেজগুলোতে আরও বিনিয়োগ করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
জবাবে শি বলেন, তারা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চান। চীনের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় চীন ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে চীনের সহায়তাও চেয়েছেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি দেশের জন্য কৃষিতে স্বাবলম্বী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কারিগরি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশকে এ খাতে সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
শি জিনপিং আরও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
উভয় নেতা আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
শি বলেছেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করা সুরাজনৈতিক দলগুলির জন্য অধিকতর জরুরি।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন