১৮ দিন সংঘবদ্ধ কিশোরীকে ধর্ষণ, সেনাবাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার

- আপডেট সময় : ১১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারন করার অভিযোগ উঠেছে ফজলু হক (৪৮) নামের এক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ফজলুল উপজেলার চর গোকুন্ডা ইউনিয়নের মৃত টেংরা মামুদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজলু ও তার স্ত্রী রোজিনা পলাতক আছেন।
স্থানীয়রা জানান, ফজলু ও তার স্ত্রী মিলে ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রলোভন ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ২ মার্চ ফজলুর স্ত্রী রোজিনা ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর সহযোগিতায় ফজলু জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি গোপন করে টানা ১৮ দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে। ঘটনা জানাজানি হলে সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানায় পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফজলু ও তার স্ত্রী আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। রাজি না হওয়ায় আমার সাথে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করে। বাইরে বললে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমার বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আমার মেয়ে হারিয়ে গেছে অনেক খোঁজাখুজি করেছি। আমার মেয়ের সাথে এমন ঘটনার অপরাধীর বিচার ও শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ফজলুর বাড়ি থেকে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।