ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বরখাস্ত ! কাজী আখতার উল আলম ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত

সু-সন্তান নির্মানে যে ১০টি নির্দেশনা বাবা মায়ের মেনে চলা উচিৎ

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

 

আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।

১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।

২। আপনি তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।

৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন। একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন। তার সামর্থকে সমর্থন করুন। তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান। তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।

৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন। মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।

৫। তার কথা শুনবেন। তাকে বিরক্তি দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না। এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান। নিজ ধর্মের আচার–আচরণ,নিয়ম–কানুন শিখান। বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।

৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না। সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে। তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।

৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন। সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন। যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।

৯। তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন। আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।

১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন। তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দ–অপছন্দ গুলো তাকে জানান। তার পছন্দ–অপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করুন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সু-সন্তান নির্মানে যে ১০টি নির্দেশনা বাবা মায়ের মেনে চলা উচিৎ

আপডেট সময় : ০৯:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

 

আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।

১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।

২। আপনি তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।

৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন। একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন। তার সামর্থকে সমর্থন করুন। তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান। তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।

৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন। মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।

৫। তার কথা শুনবেন। তাকে বিরক্তি দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না। এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান। নিজ ধর্মের আচার–আচরণ,নিয়ম–কানুন শিখান। বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।

৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না। সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে। তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।

৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন। সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন। যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।

৯। তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন। আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।

১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন। তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দ–অপছন্দ গুলো তাকে জানান। তার পছন্দ–অপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করুন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন