সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও মাছ এখনও আকাশ ছোঁয়া
- আপডেট সময় : ০৭:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও মাছ এখনও আকাশ ছোঁয়া
মোঃ আবু রায়হান সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা সিন্ডিকেটের কবলে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বিপাকে পড়েছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ে। উর্দ্ধগতির বাজারে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্ট হয়ে পড়েছিল নিম্ন আয়ের মানুষের। সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়েছে অবৈধ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১২৫ টাকা হলেও আবার কমে ১১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে গরুর মাংস ৭০০ টাকা থেকে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। সবজির দাম কমেছে সাথে মুদি পণ্যর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদিপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১২ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১৫ টাকা, বুটের ডাল ১১০টাকা, চাল সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা ( আতপ) রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা শুকনো ঝাল ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের কাচাবাজারে কাঁকরোল ৪০ টাকা, বর্তমান ৩৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বর্তমান ৪০ টাকা চিচিঙ্গা ৪০ বর্তমান ৩০-৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা বর্তমান ৩০-৪০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা বর্তমান ৫৪-৫৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা বর্তমান ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, বর্তমান ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা বর্তমান ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা বর্তমান ৩৫ টাকা, এবং শসা ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, সোনালি ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকারভেদে রুই ২০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩৩০ টাকা, মৃগেল ২০০-২২০ টাকা, আকারভেদে পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০-৭৫০ টাকা, রূপচাঁদা জাত ও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, টেংরা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, তৎকালীন সরকারের অসাধু প্রশাসন ও সিন্ডিকেটবাজরা দাম বৃদ্ধি করে মুনাফা নিতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটরা নিরব থাকায় কিছুটা হলে পণ্যর দাম কমেছে যেটা কমেছে সেটাও সহনশীল নয় আরও দাম কমাতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দ্রব্যমূল্য দাম কমানো উচিত।