ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

সন্ত্রাস দমনে ভুমিকা রাখার কারণেই খুন চেয়ারম্যান সেন্টু, দাবি পরিবারের।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী বাহিনী দমনে ভুমিকা রাখার কারণেই ইউপি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গত সোমবার নিজ কার্যালয়ে দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু।

 

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন  হয়েছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান হাবীব বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

 

পুলিশ জানায়, নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে শর্ট গানের গুলি দিয়ে মারা হয়েছে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

 

নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবী, ইউপি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু এলাকায় শান্তি ফেরাতে তার ভাই শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে তদবির করে ফিলিপনগর এলাকায় একটি র‌্যাব ক্যাম্প স্থাপন করেন। এরপর র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মারা যায়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান সেন্টুকে হত্যা করেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী দমনে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন, অর্থ খরচ করেছেন বলে চেয়ারম্যান সেন্টু নিজেই বিভিন্ন জায়গায় এসব কথা বলতেন। সন্ত্রাসীরা হয়তো এ কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।

 

চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন হত্যাকান্ডই স্বাভাবিক ভাবে দেখার সুযোগ নেই নয়। আমার ভাইকে কারা হত্যা করেছে, কারা ইন্ধন দিচ্ছে সেটা এলাকার সবার জানা। প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

 

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের পর থেকেই পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে মরদেহ নিজ বাসভবন ফিলিপনগরে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু, নিহতের ছোট ভাই আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সন্ত্রাস দমনে ভুমিকা রাখার কারণেই খুন চেয়ারম্যান সেন্টু, দাবি পরিবারের।

আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী বাহিনী দমনে ভুমিকা রাখার কারণেই ইউপি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তারা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গত সোমবার নিজ কার্যালয়ে দূর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু।

 

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন  হয়েছে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান হাবীব বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

 

পুলিশ জানায়, নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে তাকে শর্ট গানের গুলি দিয়ে মারা হয়েছে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।

 

নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবী, ইউপি চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু এলাকায় শান্তি ফেরাতে তার ভাই শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে তদবির করে ফিলিপনগর এলাকায় একটি র‌্যাব ক্যাম্প স্থাপন করেন। এরপর র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মারা যায়। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান সেন্টুকে হত্যা করেছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী দমনে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন, অর্থ খরচ করেছেন বলে চেয়ারম্যান সেন্টু নিজেই বিভিন্ন জায়গায় এসব কথা বলতেন। সন্ত্রাসীরা হয়তো এ কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।

 

চেয়ারম্যানের ছোট ভাই শিল্পপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোন হত্যাকান্ডই স্বাভাবিক ভাবে দেখার সুযোগ নেই নয়। আমার ভাইকে কারা হত্যা করেছে, কারা ইন্ধন দিচ্ছে সেটা এলাকার সবার জানা। প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

 

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের পর থেকেই পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

 

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে মরদেহ নিজ বাসভবন ফিলিপনগরে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু, নিহতের ছোট ভাই আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর এলাকার মৃত মতলেব সরকারের ছেলে।

শেয়ার করুন