ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

শেষ সন্ত্রাসী নির্মূূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে : তথ্যমন্ত্রী! 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

শেষ সন্ত্রাসী নির্মূূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে : তথ্যমন্ত্রী!

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়, মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদেরকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। একাত্তরের রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রিগেড ৭১’ সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

‘একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহবান জানিয়েছিলেন, এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া এটা আমাদের দায়িত্ব।’

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর মায়াকান্না করে, এতো গ্রেপ্তার কেন হচ্ছে -সেই কথা বলে, তাদের কাছে প্রশ্ন যে, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হতে পারে! গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করলো, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালালো, ১৯টি এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো, শতাধিক পুলিশ আহত হলো এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করলো, ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। এগুলো যারা করে তো জঘন্য সন্ত্রাসী, হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। ‘ব্রিগেড ৭১’ কে অনুরোধ জানাবো যে আপনারা জনগণকে আরো সচেতন করে তুলুন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সারাদেশে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই। অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছিলো। আমার শরীরে এখনো ৪০-৪২টি স্প্রিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্রিন্টার, কেউ কেউ, পঙ্গু হয়েছে। বিএনপির তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিলো, কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিলো। এখনো তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।’

  • মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সাংবাদিক মোস্তফা হোসেইন উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোশিয়েনের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল নুর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ‘ব্রিগেড ৭১’ এর যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রাজু, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার, নৌ কমান্ডো মোশাররফ হোসেন, আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ ও সাংবাদিক শামীম আক্তার চৌধুরী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির রূপরেখার ওপর আলোকপাত করেন।
শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেষ সন্ত্রাসী নির্মূূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে : তথ্যমন্ত্রী! 

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

শেষ সন্ত্রাসী নির্মূূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে : তথ্যমন্ত্রী!

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অবরোধ-হরতাল-কর্মসূচির নামে যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়, মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করে তারা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। আমরা এদেরকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনীতি এবং আমাদের করণীয়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন। একাত্তরের রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্রিগেড ৭১’ সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

‘একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি করার আহবান জানিয়েছিলেন, এখন আবার এই আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গর্তের মধ্যে যারা ঢুকেছে তাদেরকে গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া এটা আমাদের দায়িত্ব।’

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর মায়াকান্না করে, এতো গ্রেপ্তার কেন হচ্ছে -সেই কথা বলে, তাদের কাছে প্রশ্ন যে, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কি গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হতে পারে! গাড়ির মধ্যে হেলপার শুয়ে আছে গাড়ি চলছে না, সেই গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ২৮ অক্টোবর তারা পুলিশ হত্যা করলো, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালালো, ১৯টি এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিলো, শতাধিক পুলিশ আহত হলো এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করলো, ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। এগুলো যারা করে তো জঘন্য সন্ত্রাসী, হিংস্র হায়ানার চেয়েও হিংস্র এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জনগণের দায়িত্ব এবং সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। ‘ব্রিগেড ৭১’ কে অনুরোধ জানাবো যে আপনারা জনগণকে আরো সচেতন করে তুলুন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সারাদেশে তারা সমাবেশ করেছে, সরকার নিরাপত্তা দিয়েছে। মাঝেমধ্যে নিজেরা মারামারি করেছে এর বাইরে গত ১৫ বছরে তাদের মিটিংয়ে একটা পটকাও ফোটে নাই। অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে আওয়ামী লীগের ২২ জনকে হত্যা, ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছিলো। আমার শরীরে এখনো ৪০-৪২টি স্প্রিন্টার। অনেকের শরীরে শত শত স্প্রিন্টার, কেউ কেউ, পঙ্গু হয়েছে। বিএনপির তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে শাহ এস এম কিবরিয়াকে হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা, শেখ হেলাল এমপি, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির জনসভায় হামলা করে অনেক মানুষকে হতাহত করেছিলো, কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিলো। এখনো তারা সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে, সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।’

  • মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সাংবাদিক মোস্তফা হোসেইন উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোশিয়েনের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল নুর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ‘ব্রিগেড ৭১’ এর যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রাজু, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার, নৌ কমান্ডো মোশাররফ হোসেন, আতাউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ ও সাংবাদিক শামীম আক্তার চৌধুরী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির রূপরেখার ওপর আলোকপাত করেন।
শেয়ার করুন