শেখ পরিবারের নামে থাকা গোপালগঞ্জের মেডিকেল কলেজ,- ট্রমা সেন্টার, -চক্ষু হাসপাতালের নাম পরিবর্তন
- আপডেট সময় : ১০:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে,শেখ সায়েরা খাতুন ট্রমা সেন্টার গোপালগঞ্জকে ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামে এই তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সহ সারা দেশের ১৪টি প্রতিষ্ঠান যা শেখ পরিবারের নামে নামকরণ করেছিল বিগত সরকার। বর্তমান উপদেষ্টা সরকার তা পরিবর্তন করে জেলার ভিত্তিক নামকরণ করেন।বিগত সরকারের আমলে যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দেওয়া নাম কেটেছিল বর্তমান সরকার একইরুপে পরিবর্তন না করে ভিন্ন কৌশলে তা করছে। বর্তমান সরকার দেশের যে ১৪ টি হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টাঙ্গাইলকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, ঢাকা শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ঢাকা ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালকে গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল,
গোপালগঞ্জ, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গোপালগঞ্জকে, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, , সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল , শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জামালপুরকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল খুলনাকে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র মানিকগঞ্জকে মানিকগঞ্জ দলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কিশোর গঞ্জ মেডিকেল কলেজ,এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুরকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে নামকরণ করা হয়।
৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র সমাজ, সাধারণ মানুষ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা(পুলিশ) বাহিনীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বর্তমান বাংলাদেশর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কারোরি কাম্য নয়।আন্দোলনে সরকারের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেই সাথে সমাপ্ত হয় আওয়ামী সরকারের ১৭ বছরের শাসনকাল। গঠিত উপদেষ্টা সরকারের মূল টার্গেট ছিল দেশ শংস্কার করা। সংস্কারে নামে চলছে ভিন্ন খ্যাতে দেশ। বিগত সরকারের আমলে সারা দেশে বিভিন্ন বড় ছোট প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে নতুন নতুন নামে নামকরণ করেছিল তা কারোর অজানা নেই। বর্তমান উপদেষ্টার সরকার ঠিক একই রূপে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন নাই সাধারণ মানুষের ভাগ্যের। সারা দেশে বেড়েছে মামলা, হামলা, চাঁদাবাজি,জন সম্মুক্ষ্যে খুন,জখম, চুরি ,সরকারি জমি দখল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ নানা ধরনের কর্মকাণ্ড যা সামাল দিতে এই উপদেষ্টা সরকারের ব্যর্থতা বলে ধা্রণা। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের মানুষ পরিবারতন্ত্র, শেখ পরিবারের ও তাদের হাত ধরে চলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বেচ্ছাচারিতা থেকে রক্ষা পেতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরুদ্ধে না গিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে, পরিবর্তনের প্রয়োজন বোধ করেছিল বলে। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকারকে সাহযোগীতা না করে কুচক্রী একটি মহল নিজের স্বার্থে নানা ধরনের অপকর্ম করে নিজেদের পকেট মোটা করে দেশ ও দশের ক্ষতি সাধন করছে। এই সকল কুচক্রীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কঠোর হাতে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন। ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থ বড় ।