ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কটকা ট্রাজেডি “শোক দিবস”-২০২৫ পালিত  খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত আছিয়ার ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ভূরুঙ্গামারীতে মানববন্ধন জয়পুরহাটে চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণকারী রুগীর সংবাদ সম্মেলন খুলনা জেলা পুলিশের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে -বগুড়ায় ইশরাক হোসেন বগুড়ায় ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ দৌলতপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত আটক  বগুড়ায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ভূরুঙ্গামারীতে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার

শাহজাদপুরে মালচিং শীটে স্কোয়াশের হাসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মাসুম হোসেন অন্ত, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:স্কোয়াশ একটি কুমড়া জাতীয় সবজি। এটি একটি বিদেশি সবজি হলেও ভোক্তার কাছে এর চাহিদা অন্যরকম। অপরদিকে উচ্চমূল্যের ফসল হওয়ায় স্কোয়াশ চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
স্কোয়াশ চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ হাজার টাকা উৎপাদন ব্যয় হলেও উৎপাদিত স্কোয়াশ বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। এতে স্কোয়াশ চাষে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি কৃষকের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। মাত্র ৪০-৫০দিনেই এ ফসল পাওয়া যায়। ফলে স্কোয়াশ চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের চর ধুনাইল গ্রাম সহ বিস্তৃর্ণচরে এ সবজির চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার স্কোয়াশ সরাসরি চলে যাচ্ছে ঢাকায়। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকেও স্কোয়াশ চাষ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মালচিং শীট ব্যবহার করে উন্নত মানের স্কোয়াশ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক আব্দুস সালাম জানান- মালচিং শীট ব্যবহার করার ফলে স্কোয়াশ চাষে পানি সেচ, নিড়ানি দিতে হয়নি। রোগ বালাই এর উপদ্রব কম। তিনি আরো বলেন- প্রতি বিঘা জমিতে ২ হাজার ৫০০ গাছ আছে, প্রতি গাছে গড়ে ৩-৪ স্কোয়াশ রয়েছে। প্রতি স্কোয়াশ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এহসানুল হক বলেন- কৃষকদেরকে আমরা উচ্চমূল্যের ফসলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারা লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন- অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে স্কোয়াশ চাষে অধিক লাভ করা যায়। স্কোয়াশ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন। এই চরের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের জন্য উপযোগী এবং লাভজনক। সেজন্য এর চাষ বাড়াতে আমরাও কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজাদপুরে মালচিং শীটে স্কোয়াশের হাসি

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

 

মোঃ মাসুম হোসেন অন্ত, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:স্কোয়াশ একটি কুমড়া জাতীয় সবজি। এটি একটি বিদেশি সবজি হলেও ভোক্তার কাছে এর চাহিদা অন্যরকম। অপরদিকে উচ্চমূল্যের ফসল হওয়ায় স্কোয়াশ চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
স্কোয়াশ চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ হাজার টাকা উৎপাদন ব্যয় হলেও উৎপাদিত স্কোয়াশ বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। এতে স্কোয়াশ চাষে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি কৃষকের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। মাত্র ৪০-৫০দিনেই এ ফসল পাওয়া যায়। ফলে স্কোয়াশ চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের চর ধুনাইল গ্রাম সহ বিস্তৃর্ণচরে এ সবজির চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার স্কোয়াশ সরাসরি চলে যাচ্ছে ঢাকায়। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকেও স্কোয়াশ চাষ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মালচিং শীট ব্যবহার করে উন্নত মানের স্কোয়াশ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। প্রদর্শনী প্রাপ্ত কৃষক আব্দুস সালাম জানান- মালচিং শীট ব্যবহার করার ফলে স্কোয়াশ চাষে পানি সেচ, নিড়ানি দিতে হয়নি। রোগ বালাই এর উপদ্রব কম। তিনি আরো বলেন- প্রতি বিঘা জমিতে ২ হাজার ৫০০ গাছ আছে, প্রতি গাছে গড়ে ৩-৪ স্কোয়াশ রয়েছে। প্রতি স্কোয়াশ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এহসানুল হক বলেন- কৃষকদেরকে আমরা উচ্চমূল্যের ফসলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারা লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম বলেন- অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে স্কোয়াশ চাষে অধিক লাভ করা যায়। স্কোয়াশ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন। এই চরের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের জন্য উপযোগী এবং লাভজনক। সেজন্য এর চাষ বাড়াতে আমরাও কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন