ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত।  ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। 

‘শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করায়, প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

রাশেদুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব হওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ভূয়সী প্রশংসা। শান্তি বিরাজ করছে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।

 

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ উৎসব দুর্গোৎসব।

এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার।

 

২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল নোয়াখালীর চৌহমুনীতে চৌমুহনী এলাকার অন্তত ১১টি পূজামণ্ডপ ও ৬টি মন্দিরে একযোগে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে একটি পূজামণ্ডপ, একটি কালি মন্দির ও দুর্গাপুরে একটি পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে চৌহমুনীর ওই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে দুজনের প্রাণহানিসহ লুটপাট করা হয় মন্দিরগুলোর অর্থ, ভাঙচুর করা হয় মণ্ডপগুলোর সব প্রতিমা। চৌমুহনীতে মন্দির ও পূজামণ্ডপের সেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত এখনো শুকায়নি।

 

বিনয় কুমার দেবনাথ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিতে লিখেন, এমন পুলিশ সুপার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যিনি দিন-রাত এক করে দিয়ে উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা দিয়েছেন। স্যার আপনাকে স্যালুট।

 

তমা বনিক নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন , গত বছর দুর্গাপূজায় হামলা হয়েছিলো। আমরা তাতে ঠিকমতো অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। পুলিশ সুপার স্যার সব মন্দিরে মন্দিরে এসেছেন। আমরা শান্তিতে পূজা উদযাপন করেছি।

 

ছোটন দাস লিখেন, আমরা ভয়ে ছিলাম তবে নিরাপত্তা দেখে অবাক হয়েছি। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাদের নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্ব।

 

সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার ১৮০ টি পূজামণ্ডপে নান্দনিক, প্রাণবন্ত, স্বতঃস্ফূর্ত, আনন্দঘন, সার্বজনীন, উৎসবমুখর, নিরাপদ দুর্গোৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের সৃষ্টির মাধ্যমে সম্মানিত জনগণকে নিরাপদ সময় উপহার দেয়ায় জেলা পুলিশ নোয়াখালী’র সকল গর্বিত সদস্যকে প্রাণঢালা ও আন্তরিক অভিনন্দন।

 

শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, সম্মানিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী সর্বোপরি আয়োজকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সামাজিক সুরক্ষা বলয় নির্মাণের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নোয়াখালীতে ১৮০ টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব হয়েছে। এসবে নিরাপত্তার জন্য ছিল প্রায় সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করায়, প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার’

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২

রাশেদুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব হওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ভূয়সী প্রশংসা। শান্তি বিরাজ করছে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।

 

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ উৎসব দুর্গোৎসব।

এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার।

 

২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল নোয়াখালীর চৌহমুনীতে চৌমুহনী এলাকার অন্তত ১১টি পূজামণ্ডপ ও ৬টি মন্দিরে একযোগে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে একটি পূজামণ্ডপ, একটি কালি মন্দির ও দুর্গাপুরে একটি পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে চৌহমুনীর ওই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে দুজনের প্রাণহানিসহ লুটপাট করা হয় মন্দিরগুলোর অর্থ, ভাঙচুর করা হয় মণ্ডপগুলোর সব প্রতিমা। চৌমুহনীতে মন্দির ও পূজামণ্ডপের সেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত এখনো শুকায়নি।

 

বিনয় কুমার দেবনাথ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিতে লিখেন, এমন পুলিশ সুপার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যিনি দিন-রাত এক করে দিয়ে উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা দিয়েছেন। স্যার আপনাকে স্যালুট।

 

তমা বনিক নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন , গত বছর দুর্গাপূজায় হামলা হয়েছিলো। আমরা তাতে ঠিকমতো অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। পুলিশ সুপার স্যার সব মন্দিরে মন্দিরে এসেছেন। আমরা শান্তিতে পূজা উদযাপন করেছি।

 

ছোটন দাস লিখেন, আমরা ভয়ে ছিলাম তবে নিরাপত্তা দেখে অবাক হয়েছি। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাদের নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্ব।

 

সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার ১৮০ টি পূজামণ্ডপে নান্দনিক, প্রাণবন্ত, স্বতঃস্ফূর্ত, আনন্দঘন, সার্বজনীন, উৎসবমুখর, নিরাপদ দুর্গোৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের সৃষ্টির মাধ্যমে সম্মানিত জনগণকে নিরাপদ সময় উপহার দেয়ায় জেলা পুলিশ নোয়াখালী’র সকল গর্বিত সদস্যকে প্রাণঢালা ও আন্তরিক অভিনন্দন।

 

শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, সম্মানিত জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী সর্বোপরি আয়োজকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সামাজিক সুরক্ষা বলয় নির্মাণের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ।

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নোয়াখালীতে ১৮০ টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব হয়েছে। এসবে নিরাপত্তার জন্য ছিল প্রায় সহস্রাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শেয়ার করুন