রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলন কমিটির কৃষক সমাবেশে জামাত-শিবিরের হামলার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-এর পূর্বঘোষিত কৃষক সমাবেশ করতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলারও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে সভার আয়োজন করেছিলো “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন”। তবে পুলিশ সভার স্টেজ পরিকল্পিতভাবে ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ তাদের।
সভায় যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অভিযোগ, স্টেজ ভেঙে দেয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা একইস্থানের ফাঁকা জায়গায় সমাবেশের চেষ্টা করলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রৌমারী শাখার সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনুর উপর অতর্কিত হামলা করে স্থানীয় জামায়েত ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আগত গণবুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ট্রাষ্টি নাহিদ হাসান নলেজ বাঁধা দিতে গেলে তার উপর অতর্কিত হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। হামলায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ন্যায়পাল ও শহীদ আবু সাইদের আইনজীবী এ্যাড. রায়হান কবীর, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এর প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ রৌমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে এ্যাড. রায়হান কবীর বলেন, ‘আমরা কৃষকদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করেছি। এতে আমরা স্থানীয় জামাত শিবিরের হামলার স্বীকার হয়েছি।
শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের পালিত পুলিশ বাহিনী এখনো সোচ্চার। তারা আমাদের সভা মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে।
নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘জামাত শিবিরের পরিচয় দিয়ে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ আমাদের মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা সকল দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সেই সাথে রৌমারীর ইউএনও, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে রৌমারী জামায়াতে ইসলামীর আমির হায়দার আলী বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কার করবে ইউনূস সরকার, তারা রাষ্ট্র সংস্কারের কে.? রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের সমাবেশ করবে সেটা আমরা কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জানে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ইসকনের কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশ তাদের স্টেজ ভেঙ্গে দিয়েছে বলে শুনেছি। আমিও শুনেছি তাদের উপর হামলা হয়েছে তবে তা স্থানীয়রা করেছে। এখানে জামাত শিবির জড়িত নয়।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের মঞ্চ ভাঙিনি। এটি সম্পূর্ণ অসত্য। তাদের সমাবেশে লোক ছিলো না তাই ডেকোরেটরের লোকজন স্টেজ ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে পার্শ্ববর্তী রাস্তায় বিচ্ছিন্নভাবে স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়।