রাজশাহীতে শিশু মামুনের পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রলীগ কর্মী – আনাস
- আপডেট সময় : ০৮:৪৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আরটিভিতে “মায়ের ওষুধ কিনতে বেলুন বিক্রি”— ও সময় সংবাদে “শিশুর কাঁধে মায়ের দায়িত্ব” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সেই শিশু বেলুন বিক্রেতা রবিউল ইসলাম মামুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কর্মী মো. আনাস মোল্লা।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর আসাম কলোনি এলাকায় মামুনের ভাড়া বাসায় তিনি গিয়ে আর্থিক সহায়তা করেন।
এ ছাড়াও ছাত্রলীগ কর্মী আনাস মোল্লা মামুনের মা রহিমা বেগমের হাতে কয়েক মাসের খাবার, শিক্ষা উপকরণ ও মা ছেলের জন্য নতুন জামাকাপড় উপহার দেন। আর্থিক সহায়তা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী পেয়ে দারুণ খুশি মামুনের মা রহিমা বেগম।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মামুনের জন্য সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস পেলেও তেমনভাবে এখনও পর্যন্ত কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। তবে ছাত্রলীগ কর্মী আনাস মোল্লা আমার ও আমার সন্তানের জন্য আজ উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছে। এই ঋণ কোনোদিনই শোধ করতে পারবো না। তার জন্য দোয়া করবো।
উপহার সামগ্রী নিয়ে আসা রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কর্মী আনাস মোল্লা বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশের পরই আমার নজরে আসে। তখন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিই পরিবারের পাশে দাঁড়াব। এজন্য আমার লেখাপড়া করার খরচের একটি অংশ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহোযোগিতা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি মামুনের জন্য। আজ সেটি তুলে দিলাম।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাই সবসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বলেন নিজেদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাই ছোট পরিসের হলেও বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভালোবাসার উপহার মামুনের পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে আজ আমি আনন্দিত।
উল্লেখ্য, ৯ বছর বয়সে কাঁধে সংসারের বোঝা তুলে নিয়েছেন শিশু মামুন। মায়ের অসুস্থতার কারণে সাত বছর আগে বাবা ছেড়ে গেলেও সংসারের দায়িত্ব নিতে পিছপা হননি ছোট্ট এই শিশুটি। একবেলা পড়াশোনা করে নেমে যান বেলুন বিক্রির কাজে। সেই টাকা দিয়ে মায়ের ওষুধ কেনার পাশাপাশি করেন সংসারে বাজার। এমন অর্থ-কষ্টের অভাবের মধ্য দিয়ে চলছে মা ছেলের সংসার। এনিয়ে গত ২১ আগস্ট আরটিভিতে এবং সময় সংবাদে সংবাদ প্রচার হলে মুহূর্তে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।