ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

রমেকে রিং বাণিজ্য অভিযোগ নিয়ে যা বলছেন স্বয়ং  ডা.মাহাবু্ুর রহমান:

মাটি মামুন রংপুর ব্যুরো:
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে

মাটি মামুন রংপুর ব্যুরো:

গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক ও ৫ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে হার্টে রিং পরান একটা টাকা নেন তিনটার এবং রংপুরের ডা. মাহবুবুর রহমানের ‘রিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে ।

আমি ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।

রংপুরসহ দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি ।

আমার সার্ভিস লাইফে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোনো লিখিত অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি অতীতে। আমি কোনো প্রকার অফিসিয়াল দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিও পাইনি ।

আমার বিরুদ্ধে যে হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারও কোনো সত্যতা নেই । আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই,হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিও গ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজন সেটা দেখিয়ে দেয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেয়া হয় সেখানে সবকিছু

ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে । তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের কোন কথা আমি রোগি বা রোগির লোক কে বলি নাই এবং এ পরিমানের কোন টাকাও তারা দেয় নাই। আমি যা করেছি বা বলেছি তার দালিলিক প্রমান তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রিং পরানো এনজিও গ্রাম সেবা বন্ধ ছিল।

সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পড়ানো এবং এনজিও গ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল রোগীর স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

এই চক্রটি চায় না রংপুরে কম সেবায় সেবাটি পাক। প্রকৃত সত্য হলো, আমার চাকরি জীবনকে বিতর্কিত করা ও মান সম্মানের ক্ষতিসাধন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট

মনগড়া ওই অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, আর সেই অসত্য বিষয়কে উপস্থাপন জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । এই নিউজ প্রকাশের কারণে আমি সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছি এবং আমার চাকরি জীবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । তাই আমি ওই বিভ্রান্তমূলক সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,জনবিভ্রান্তি দূর করার জন্য এই প্রতিবাদটি প্রকাশ করছি।

দীর্ঘ ৪/৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমি বলব, আমাদের প্রচেষ্টা ও উপরে মহান আল্লাহ্‌ র ইচ্ছায়

আমরা রংপুর মেডিকেল এ ক্যাথল্যাব পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি২০২২ সালে । এ কথা রংপুর মেডিকেল এর সবাই জানে । এ পর্যন্ত আমি এখানে ৭০০ এনজিওগ্রাম, ১০০ + রিং লাগানো, ৫০+ পেসমেকার স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি । আমাদের সফলতা ৯৯.২%.আলহামদুলিল্লাহ। ঢাকার তিন ভাগের এক ভাগ খরচে এখানে আমি এই operation গুলি করে দিচ্ছি । আমার জন্য দুয়া করবেন যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই উত্তর জনপদের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি।

ডা. মাহবুবুর রহমান

হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমেকে রিং বাণিজ্য অভিযোগ নিয়ে যা বলছেন স্বয়ং  ডা.মাহাবু্ুর রহমান:

আপডেট সময় : ১০:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মাটি মামুন রংপুর ব্যুরো:

গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক ও ৫ ডিসেম্বর কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে হার্টে রিং পরান একটা টাকা নেন তিনটার এবং রংপুরের ডা. মাহবুবুর রহমানের ‘রিং বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে ।

আমি ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।

রংপুরসহ দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি গ্রহণের পর থেকে অত্যন্ত সততার সঙ্গে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি ।

আমার সার্ভিস লাইফে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি বা আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোনো লিখিত অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি অতীতে। আমি কোনো প্রকার অফিসিয়াল দুর্নীতি বা অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিও পাইনি ।

আমার বিরুদ্ধে যে হার্টে রিং পরান একটা, টাকা নেন তিনটার অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তারও কোনো সত্যতা নেই । আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই,হার্টে রিং পরানোর এবং এনজিও গ্রাম করার সময় ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় সেখানে রোগীর স্বজন সেটা দেখিয়ে দেয়া হয় এবং সিডি করে সেই ডিস্ক রোগীকে দেয়া হয় সেখানে সবকিছু

ক্লিয়ার দেয়া রয়েছে । তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের কোন কথা আমি রোগি বা রোগির লোক কে বলি নাই এবং এ পরিমানের কোন টাকাও তারা দেয় নাই। আমি যা করেছি বা বলেছি তার দালিলিক প্রমান তদন্ত কমিটিকে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রিং পরানো এনজিও গ্রাম সেবা বন্ধ ছিল।

সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিং পড়ানো এবং এনজিও গ্রাম খরচ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর ৩ ভাগের ১ ভাগ হওয়ায় কিছু সিন্ডিকেট ও কুচক্রী মহল রোগীর স্বজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

এই চক্রটি চায় না রংপুরে কম সেবায় সেবাটি পাক। প্রকৃত সত্য হলো, আমার চাকরি জীবনকে বিতর্কিত করা ও মান সম্মানের ক্ষতিসাধন করার জন্য একটি সিন্ডিকেট

মনগড়া ওই অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, আর সেই অসত্য বিষয়কে উপস্থাপন জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । এই নিউজ প্রকাশের কারণে আমি সমাজে হেয়-প্রতিপন্ন হয়েছি এবং আমার চাকরি জীবন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । তাই আমি ওই বিভ্রান্তমূলক সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,জনবিভ্রান্তি দূর করার জন্য এই প্রতিবাদটি প্রকাশ করছি।

দীর্ঘ ৪/৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমি বলব, আমাদের প্রচেষ্টা ও উপরে মহান আল্লাহ্‌ র ইচ্ছায়

আমরা রংপুর মেডিকেল এ ক্যাথল্যাব পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি২০২২ সালে । এ কথা রংপুর মেডিকেল এর সবাই জানে । এ পর্যন্ত আমি এখানে ৭০০ এনজিওগ্রাম, ১০০ + রিং লাগানো, ৫০+ পেসমেকার স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি । আমাদের সফলতা ৯৯.২%.আলহামদুলিল্লাহ। ঢাকার তিন ভাগের এক ভাগ খরচে এখানে আমি এই operation গুলি করে দিচ্ছি । আমার জন্য দুয়া করবেন যেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই উত্তর জনপদের দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি।

ডা. মাহবুবুর রহমান

হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

শেয়ার করুন