ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

রমজানে এতেকাফের ফজিলত

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ৪৮৫ বার পড়া হয়েছে

আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার প্রতি অমূল্য তোহফা হল পবিত্র মাহে রমজান। অনাবিল শান্তি আর নিরবচ্ছিন্ন পুণ্যে বর্ষণের মাস। সৎ ও মুমিন বান্দাদের জন্য নেকি অর্জনের মাহেন্দ্রক্ষণ। এককথায়, আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ও তাঁর ইবাদত করার বসন্তকাল পবিত্র মাহে রমজান। আমাদের মধ্য থেকে এ মহামূল্যবান মাস বিদায় নিতে চললো।

তবে শেষ দশকেও আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে বান্দা তাঁর অতি নিকটে পৌঁছুতে পারে। এরমধ্যে একটি হলো এতেকাফ। রাসুলুল্লাহ সা. এ আমলকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। মসজিদে নববিতে নিজে এতেকাফ করতেন এবং অন্যকেও এতেকাফ করতে উৎসাহিত করতেন।

হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ সা. আমৃত্যু রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করেছেন। তাঁর পরে উম্মাহাতুল মুসলিমিন তা আদায় করতে থাকেন’। (বুখারি: ২/৭১৩) পুরো বৎসর দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার কারণে আল্লাহর ইবাদত করতে বান্দার তেমন ফুরসত মিলে না।

তাই আল্লাহ তায়ালা এতেকাফের বিধান রেখেছেন, যেনো এক’টা দিন অন্যান্য কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে একনিষ্ঠভাবে তাঁরই ইবাদতে বান্দা লিপ্ত থাকতে পারে। শুধু এ দশদিন গুরুত্বের সঙ্গে ইবাদত করাটাও অনেক লাভজনক। এতেকাফকারী এতেকাফরত অবস্থায় কোনো আমল না করতে পারলেও সর্বদা ইবাদতকারীর মধ্যে শামিল থাকে। তাই নিঃসন্দেহে শবে কদরের ফজিলতও অর্জিত হয় তার।

রাসুলুল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন এতেকাফ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। এক খন্দকের পরিমাণ পূর্ব থেকে পশ্চিমের দূরত্বের সমান। (বায়হাকি: ৪২৪) | এতেকাফকারী বাইরের অন্যান্য আমল যেমন জানাজা, রোগী দেখতে যাওয়া ও সামাজিক অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে শরিক হতে না পারলেও, মসজিদে বসেই সে সওয়াব তার অর্জিত হয়ে যায়।

এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ স.বলেন, ‘এতেকাফকারী সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। সে বাইরের অন্যান্য আমল না করতে পারলেও আমলকারীর সমন সওয়াব লাভ করে। (ইবনে মাজাহ: ৫৬৭) রাসুলুল্লাহ স. সাহাবায়ে কেরাম রা. কে এতেকাফের প্রতি উৎসাহিত করতে এর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন ‘যে ব্যক্তি রমজানের দশদিন এতেকাফ করবে, তার এ আমল দুইটি হজ ও দুইটি ওমরার সমান হবে। (বায়হাকি: ৪২৫)

রমজানে কম আমল করলেও অনেক বেশি নেকি হাসিল হয়। আর এতেকাফ অবস্থায় তো হয় আরো বেশি। এটি আমাদের ওপর আল্লাহর অনেক বড় ইহসান। তাই প্রত্যেকের উচিৎ, দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততাকে পেছন রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এতেকাফ করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এতেকাফ করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমজানে এতেকাফের ফজিলত

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার প্রতি অমূল্য তোহফা হল পবিত্র মাহে রমজান। অনাবিল শান্তি আর নিরবচ্ছিন্ন পুণ্যে বর্ষণের মাস। সৎ ও মুমিন বান্দাদের জন্য নেকি অর্জনের মাহেন্দ্রক্ষণ। এককথায়, আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ও তাঁর ইবাদত করার বসন্তকাল পবিত্র মাহে রমজান। আমাদের মধ্য থেকে এ মহামূল্যবান মাস বিদায় নিতে চললো।

তবে শেষ দশকেও আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে বান্দা তাঁর অতি নিকটে পৌঁছুতে পারে। এরমধ্যে একটি হলো এতেকাফ। রাসুলুল্লাহ সা. এ আমলকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। মসজিদে নববিতে নিজে এতেকাফ করতেন এবং অন্যকেও এতেকাফ করতে উৎসাহিত করতেন।

হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ সা. আমৃত্যু রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করেছেন। তাঁর পরে উম্মাহাতুল মুসলিমিন তা আদায় করতে থাকেন’। (বুখারি: ২/৭১৩) পুরো বৎসর দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার কারণে আল্লাহর ইবাদত করতে বান্দার তেমন ফুরসত মিলে না।

তাই আল্লাহ তায়ালা এতেকাফের বিধান রেখেছেন, যেনো এক’টা দিন অন্যান্য কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে একনিষ্ঠভাবে তাঁরই ইবাদতে বান্দা লিপ্ত থাকতে পারে। শুধু এ দশদিন গুরুত্বের সঙ্গে ইবাদত করাটাও অনেক লাভজনক। এতেকাফকারী এতেকাফরত অবস্থায় কোনো আমল না করতে পারলেও সর্বদা ইবাদতকারীর মধ্যে শামিল থাকে। তাই নিঃসন্দেহে শবে কদরের ফজিলতও অর্জিত হয় তার।

রাসুলুল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন এতেকাফ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। এক খন্দকের পরিমাণ পূর্ব থেকে পশ্চিমের দূরত্বের সমান। (বায়হাকি: ৪২৪) | এতেকাফকারী বাইরের অন্যান্য আমল যেমন জানাজা, রোগী দেখতে যাওয়া ও সামাজিক অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে শরিক হতে না পারলেও, মসজিদে বসেই সে সওয়াব তার অর্জিত হয়ে যায়।

এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ স.বলেন, ‘এতেকাফকারী সমস্ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। সে বাইরের অন্যান্য আমল না করতে পারলেও আমলকারীর সমন সওয়াব লাভ করে। (ইবনে মাজাহ: ৫৬৭) রাসুলুল্লাহ স. সাহাবায়ে কেরাম রা. কে এতেকাফের প্রতি উৎসাহিত করতে এর অনেক ফজিলতের কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন ‘যে ব্যক্তি রমজানের দশদিন এতেকাফ করবে, তার এ আমল দুইটি হজ ও দুইটি ওমরার সমান হবে। (বায়হাকি: ৪২৫)

রমজানে কম আমল করলেও অনেক বেশি নেকি হাসিল হয়। আর এতেকাফ অবস্থায় তো হয় আরো বেশি। এটি আমাদের ওপর আল্লাহর অনেক বড় ইহসান। তাই প্রত্যেকের উচিৎ, দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততাকে পেছন রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এতেকাফ করা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে এতেকাফ করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন