ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কু‌ড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতা‌লের তত্ত্বাবধায়ক ওএস‌ডি আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস খুলনা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ জুন/২০২৫ কার্যক্রমের তৃতীয় দিন। সলঙ্গা  কুতুবের চর এলাকায়  অবৈধ মৎস্য আড়ৎ বন্ধের দাবিতে হাটিকুমরুলে মানববন্ধন। দৌলতপুরে বাঁকী না দেয়ায় দোকানির কান কামড়ে ছিঁড়ে দিল যুবক সরকারি নির্দেশে পাম অয়েলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমলো, ভোক্তাদের জন্য সুখবর কুড়িগ্রামের উলিপুরে অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস, ব্যবসায়ীকে জরিমানা কুড়িগ্রামে সারের ডিলারদের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের খুলনায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে -জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব

রত্না সিন্ডিকেট, মায়ের পর ছেলে-মেয়ের মাদক সাম্রাজ্য

মিরু হাসান, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে

মিরু হাসান, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রত্না সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত একটি সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের তৎপরতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি এ চক্রের প্রধান মোছা. রত্নাকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। মায়ের অনুপস্থিতিতে এখন পুরো মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন তার ছেলে ও মেয়ে।

 

সূত্র জানায়, মোছা. রত্না (স্বামী মো. মন্তেজার রহমান মন্তা), ঠিকানা শাহানগর, চুপিনগর ইউনিয়ন, শাজাহানপুর—দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ‘মাদক গডমাদার’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ অভিযানে দুরুলিয়া এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে আটক করা হয়। একই অভিযানে তার মেয়ে মোছা. নিপাও গ্রেপ্তার হন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিপাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

এদিকে রত্নার ছেলে মো. মেহেদী হাসান সুমন (ঠিকানা: শাহানগর) এখন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিশোর-কিশোরী ও গৃহবধূদের ব্যবহার করে একটি সক্রিয় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এর ফলে এলাকায় নেমে এসেছে সামাজিক অবক্ষয় ও নিরাপত্তাহীনতা। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

 

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রত্না এখন জেলে, কিন্তু ছেলে-মেয়ে মিলে আগের মতোই মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

 

জানা গেছে, রত্না ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাদের নামে চুপিনগর বাজারসংলগ্ন এলাকায় একটি তিনতলা ভবন, জলেশ্বরীতলায় দুটি চারতলা ভবন, উপশহরে তিনটি বাড়ি এবং প্রায় ২০০ বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ আরও বিপদে পড়বে। তাদের ভাষায়, “রত্না জেলে থাকলেও তার ছেলে-মেয়ে মিলে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এখনই না থামালে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

রত্না সিন্ডিকেট, মায়ের পর ছেলে-মেয়ের মাদক সাম্রাজ্য

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

মিরু হাসান, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘রত্না সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত একটি সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের তৎপরতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি এ চক্রের প্রধান মোছা. রত্নাকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। মায়ের অনুপস্থিতিতে এখন পুরো মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন তার ছেলে ও মেয়ে।

 

সূত্র জানায়, মোছা. রত্না (স্বামী মো. মন্তেজার রহমান মন্তা), ঠিকানা শাহানগর, চুপিনগর ইউনিয়ন, শাজাহানপুর—দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ‘মাদক গডমাদার’ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ অভিযানে দুরুলিয়া এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে আটক করা হয়। একই অভিযানে তার মেয়ে মোছা. নিপাও গ্রেপ্তার হন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিপাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

এদিকে রত্নার ছেলে মো. মেহেদী হাসান সুমন (ঠিকানা: শাহানগর) এখন প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিশোর-কিশোরী ও গৃহবধূদের ব্যবহার করে একটি সক্রিয় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এর ফলে এলাকায় নেমে এসেছে সামাজিক অবক্ষয় ও নিরাপত্তাহীনতা। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

 

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রত্না এখন জেলে, কিন্তু ছেলে-মেয়ে মিলে আগের মতোই মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

 

জানা গেছে, রত্না ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাদের নামে চুপিনগর বাজারসংলগ্ন এলাকায় একটি তিনতলা ভবন, জলেশ্বরীতলায় দুটি চারতলা ভবন, উপশহরে তিনটি বাড়ি এবং প্রায় ২০০ বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ আরও বিপদে পড়বে। তাদের ভাষায়, “রত্না জেলে থাকলেও তার ছেলে-মেয়ে মিলে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এখনই না থামালে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

শেয়ার করুন