আর জে রাজিব চুয়াডাঙ্গা থেকেঃ
চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের সাংবাদিক পেটানো নিউজ করাই হুংকার ছাড়ছনে বি আর টি কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান। চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমান দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ চাকুরী করার কারনে অফিসে তার রয়েছে একক ভাবে অধিপত্য। চুয়াডাঙ্গাতে একাধীক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েছে এই ওবায়দুর রহমান। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ভুয়া লাইসেন্স দেওয়াতে রাষ্ট্রের সাথে বেইমানি করেছে বলে মানুষ মনে করেন । কারন তার হাত ধরে হাজার হাজার ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ছড়িয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলাতে। বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। যার কারণে এই জেলাগুলোতে ঘন ঘন মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট তারই বহিঃপ্রকাশ । বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স প্রত্যাশিদের বেশীরভাগ মানুষের কাছ থেকে জন প্রতি ৫০০০/৭০০০ টাকা নিয়ে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েছেন। ওবায়দুর রহমান টাকা ছাড়া কখনো কিছু বোঝেনা । তার মুখের এক একটা কথা বাহির করতে হলেও টাকা লাগে অন্যথায় খারাপ ব্যবহার গুনতে হয়। কখনো অফিসে বসে সরাসরি টাকা নেয়, আবার কখনো আড়ালে । বেশীরভাগ সময় দালালদের মাধ্যমে ফাইল জমা নেওয়া হয় টাকার মারফতে। টাকা ছাড়া কোন ফাইল বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা অফিসে জমা হয়না। হোক সেটা ড্রাইভিং অথবা বাইকের রেজিষ্ট্রেশন ফাইল। যদি কোন সাধারন মানুষ তার বাইকের রেজিষ্ট্রেশন ফাইল জমা করতে আসে তখন তাদের ফাইলে বিভিন্ন ভুল ভ্রান্তি ধরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদের দিনের পর দিন ঘুরানো শেষে বলে যেই শোরুম থেকে বাইক কিনেছেন তাদের মাধ্যমে জমা দিন । আর শোরুমে ফাইল জমা দিতে গেলে মানুষের গুনতে হয় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
উল্লেখ্য যে গত ২৩-০১-২০২৩ তারিখে বিআরটিএ চুয়াডাঙ্গা অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে ম্যাকানিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ওবাইদুর রহমানের কাছে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হন দৈনিক আন্দোলনের বাজার, বাংলাদেশ সমাচার ও এসএফ টিভির পরিচালক এম সন্জু আহমেদ, ও আমার সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ হক। চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসের মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ওবাইদুর রহমানের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য না দিয়েই বিভিন্ন উচ্ছৃংখল ভাষা ব্যবহার করে। সাংবাদিক সনজু সে কথার ভিডিও ধারণ করতে গেলে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে পেটাই সঞ্জুকে । একপর্যায়ে অফিস স্টাফদের দ্বারা তার হাতে থাকা ফোনটি কেড়ে নিয়ে ফোনে ধারনকৃত ভিডিও ডিলিট করে দেয়। এম সনজু আহমেদ মার খাওয়ার পরে অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ফোন দিলে সাংবাদিকরা বিআরটিএ অফিসে উপস্থিত হলে অবস্থা বেগতিক হওয়াতে উভয় পক্ষই চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতে ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে । এমতাবস্থায় এম সঞ্জু আহমেদ চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করার পরিপেক্ষিতে বিআরটিএ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বিভিন্ন মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু সনজু তিনি তার নীতিতে অটল । তিনি বলেন আমি যদি টাকার বিনিময়ে এটা মীমাংসা করি তাহলে হয়তো দুইদিন পরে সে আবারও কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটাবে। সাংবাদিক হওয়ার পড়েও যদি এমন মার খেতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হয় । আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সঞ্জুকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। আর দেবেই না কেন এক একটা নিউজ প্রচার হয় চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ এর বিরুদ্ধে আর এক একটা হুংকার ছাড়ে ওবায়দুর রহমান। ছয় মাসের ভিতরে তার বিরুদ্ধে পাঁচটি নিউজ প্রকাশ করার পরেও কর্তৃপক্ষের যেমন টনক নড়েন তেমনি ভাবে তিন তিনবার ট্রান্সফার হওয়ার পরেও কোন এক অলৌকিক শক্তির ক্ষমতাবলে এই চুয়াডাঙ্গা জেলাতে রাজত্ব করছে এখন পর্যন্ত।
অথচ অফিসে হাতেনাতে টাকার ভিডিও ধারণ থাকা সত্ত্বেও এই ব্যক্তি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের ক্ষমতাবলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় যে ওবায়দুর রহমান এই অফিসের সবচেয়ে দূর্নীতিবাজ ও প্রতারক কর্মকর্তা টাকা ছাড়া তার কাছ থেকে কোন সেবা মেলে না। তার সাথে রয়েছে অনেক বড় দালাল চক্রের সিন্ডিকেট যাদের হাত ধরে লেনদেন হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। একজন সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীর ভিডিও সংগ্রহ করা হয় নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা। তিনি বলেন আমার গত ৭/০৪/২০২১ তারিখে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা ছিলো কিন্তু শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে উক্ত তারিখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি যার কারনে কয়েকমাস পর বিআরটি অফিসে আসি নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম জানার জন্য কথা হয় বিআরটির ম্যাকানিক্যাল এ্যসিসটেন্ট ওবাইদুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন আপনার নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া লাগবেনা আমি ওই তারিখে আপনাকে পাস দেখিয়ে দিবো যদি ৬৫০০ টাকা দেন এবং পরবর্তীতে ফিঙ্গার দিয়ে যাবেন। তার কথায় রাজী হয়ে ৬৫০০ টাকা দেই এবং তিনি আমাকে পাসের স্লিপ দেন ঠিকই কিন্তু আমি দীর্ঘ ১৫-১৬ মাস তার সাথে যোগাযোগ করেও ফিঙ্গার দিতে পারিনি। পরবর্তীতে তিনি মেয়াদ বাড়ানোর নাম করে ২০/০৬/২০২২ তারিখে ২০০০ টাকা নেন এবং মেয়াদ বাড়িয়ে দেন পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলেন , কিছুদিন পর আসেন এভাবে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন যার কারনে আমি পরবর্তীতে বিআরটিএ অফিসের এডি স্যারেরে সাথে কথা বলে জানতে পারি এটি একটি ভুয়া লাইসেন্স। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দেওয়ায় বিআরটিএ কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন সাংবাদিকদের কাছে কোন তথ্য দিয়ে লাভ হবে না সব সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা । এছাড়াও সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ায় ভুক্তোভোগীকে হুমকি দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর ও সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
Board of Directors of ABC National News : Chief Editor and Advisor-Adv Monir Uddin, Ex.Editor and Advisor-Lion Eng.Ashraful Islam, Ex.Editor-Lion Dr.Mana and Lion Palash, Acting Editor-Tawhid Sarwar, News Editor-Aftab Parvez,News Sub Editor-Pojirul Islam and
Co-Editor Siam and Neon.
Dhaka Office : 67/4,5 Chaya Neer, Shanti Bagh Dhaka 1212.