মেহেরপুরে মশার কয়েল থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- আপডেট সময় : ১১:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের পল্লীতে জ্বলন্ত মশার কয়েল থেকে গরুর গোয়ালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোয়ালে থাকা ১টি গরু, ৩টি ছাগল পুড়ে ঝলসে যাওয়াসহ বেশ কিছু হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে পুরো গোয়াল ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর), গভীর রাত আনুমানিক ২ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের যুগিন্দা গ্রামের আক্তার হোসেনের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আক্তার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, মশার প্রকোপ বেশি হওয়ার গবাদিপশুদের মশার কামড় থেকে বাঁচাতেই মশার কয়েল জ্বালানো হয়। প্রতিদিনের মতো ঘটনার রাতেও গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ্বালানো হলে কোনক্রমে তা কয়েল থেকে গোয়াল ঘরে রাখা পাটখড়ির গাদায় আগুন লেগে ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। ঘটনায় গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে লোকজনের হৈচৈ শুনে বিছানা থেকে বাইরে বেরিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে যায় আক্তার হোসেনের বাড়ি।
সেসময় তার গোয়াল ঘরে দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন মুহূর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরে গ্রামবাসীর অনেকেই ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
গৃহকর্তা আক্তার হোসেনের বৃদ্ধ বাবা শরিফ উদ্দীন বলেন, গভীর রাতে আগুনের ঘটনা ঘটায় লোকজন কম ছিল। আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকজন অথবা ফায়ার সার্ভিসের টিম সময় মতো উপস্থিত হলে ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। তিনি বলেন, লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে তিনারা আসার পূর্বেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে আসতে নিষেধ করা হয়। এসময় গোয়াল ঘরের ভেতর বাঁধা ১টি এঁড়ে গরু, ৩টি ছাগলের সমস্ত দেহ পুড়ে ঝলসে যায় এবং অসংখ্য হাঁস-মুরগি পুড়ে মারা যায়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম জানান, আশেপাশে কয়েকটি মটোর থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় আশেপাশের বাড়িগুলোও ভস্মীভুত হয়ে যেতে পারতো। তিনি বলেন, আজ নিকটে যদি একটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকতো তবে হয়তো এতো ক্ষতি হতোনা। মেহেরপুর ও বামুন্দীতে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস থাকলেও তা অনেক দুরে। এমতবস্থায় তিনি গাংনীতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।