বালিয়াডাঙ্গীতে ৫ নং দুওসুও ইউনিয়নের জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সাইফুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৫ নং দুওসুও ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৩টায় কালমেঘ রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ও কলেজ মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের সূরা সদস্য ও ঠাকরগাঁও – ২ আসনের ২০ দলীয় জোটের সাবেক প্রার্থী এবং জেলা আমির মুজলুম জননেতা অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল হাকিম।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক সরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রশিদ মাষ্টার।
সমাবেশে ৫ নং দুওসুও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা বসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য ও সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা উত্তর শাখা সভাপতি রাজু হাসান, দক্ষিণ শাখার সভাপতি শামিম হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মুজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কারণ আমরা জানি না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। কারণ ফ্যাসিবাদী ওই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। সেখানে জামায়াতে ইসলামীও সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে দলটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’ জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহারের পরই দলটির নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের আমলে দেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, জনগণের ভোটের অধিকার, সভা সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিয়েছিলো, জনগণের মৌলিক থেকে বঞ্চিত করেছিল, আমাদের জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা হয়রানি করে তারা বিনা ভোটে নির্বাচন করে দেশে অবৈধ সরকার গঠন করেছিলো।
২০০৮ সালে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনয় পত্র দাখিল করার পর ভোটে আগের আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতে বন্দী করে রেখেছিলো, নির্বাচন প্রচারণাকালে রাজনৈতিক নেতা সন্ত্রাসী মনোভাব নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলো তা জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের আমলে বিএনপি জামায়াতের সমর্থিত নেতা কর্মীরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও কথা বার্তা বলতে পারেনি।
১ আগষ্ট জামায়াতের নিবন্ধ বাতিল করেছিলো ৪ দিন পরেই ছাত্র জনতা ও জামায়াত, বিএনপিসহ দেশের জনগণের আন্দোলনের মুখে বিনা ভোটের আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সংখ্যালঘু বলে কোন কথা নয়, হিন্দু মুসলিম খিষ্টান, বোদ্ধ দেশের নাগরিকের সবার সমান অধিকার রয়েছে, তাই দেশের জনগণ সমান অধিকার ভোগ করবেন। অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আটক করে রেখেছিলো আমার মতো একজনকে। দেশের জনগণ তার গায়েবানা জানাজা নামাজ আদায় করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দিতো। আওয়ামীলীগের জুলুমবাজ সরকারের পদত্যাগ করার পর হতে দেশের জনগণ রক্ষা পেয়েছে।
জামায়াত ইসলামী এমন একটি রাজনৈতিক দল যা আল্লার আইন ও ইসলামের শাসনের বিশ্বাসী। তাই সকলকে আল্লাহ আইন মেনে চলতে হবে।
আলোচনা শেষে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ও দেশের কামনায় দোয়া পাঠ করেন দুওসুও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা বসির উদ্দীন।