বটিয়াঘাটা উপজেলার লবনচরা থানাধীন কৃষ্ণনগর মৌজায় বসতবাড়ি ও দোকানঘর দখলের চেষ্টা ।
- আপডেট সময় : ০৯:৩২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ইন্দ্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি
বটিয়াঘাটা উপজেলার লবনচরা থানাধীন কৃষ্ণনগর মৌজার ২৫ বছরের বসতবাড়ি ও দোকানঘর আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে । এব্যাপারে ভূক্তভোগী জমির মালিক মোঃ হায়াত গাজীর স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার লবনচরা থানায় হাজির হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে । লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার লবনচরা থানাধীন কৃষ্ণনগর মৌজার সিএস ১৭০ খতিয়ানের অধীনে এসএ ২০৮ খতিয়ানে ২৫ থেকে ২৬ বছরের অধিককাল ধরে বসতবাড়ি ও দোকান নির্মাণ পূর্বক বসবাস ও দোকান ভাড়া দিয়ে জীবন জীবীকা নির্বাহ করে আসছিল । গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৮ টার দিকে বিবাদী খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার শের-এ-বাংলা রোড, ব্যাংক কোয়াটারের উত্তর পাশে মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ সাইমুনুন ওরফে সাইমন (৩৫), মোঃ শাহিনুর রহমান ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ভদ্রকুল এলাকার আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ শাকিল ও তাদের ১০/২২ জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর ও অস্থায়ী বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা এবং দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় । এসময় ভূক্তভোগী বাঁধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করলে আহত হন । একপর্যায়ে ভূক্তভোগীরা লবনচরা থানা ও পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনা স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে বিবাদীরা চলে যায় । উল্লেখ্য বিবাদীরা নিলাম খরিদ বনিয়াদে দাবি করে আসলেও জজকোর্ট, মহামান্য হাইকোর্টে ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট উক্ত নিলাম অবৈধ ঘোষণা করে । তারপরও বিবাদীরা কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি জোর পূর্বক বাদীর বসতবাড়ি ও দোকান দখল করার পাঁয়তারা করছে । এছাড়াও আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দ্বারা রদ করতে আদেশ প্রদান করলেও উক্ত আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে চলেছে । এব্যাপারে ভূক্তভোগী বিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।