বঙ্গবন্ধুর পরিবার বিজ্ঞানমনস্ক;উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ -পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ ৩২৯ বার পড়া হয়েছে
এবিসি নিউজ ডেস্কঃ
ড. ওয়াজেদ মিয়া খ্যাতিমান বিজ্ঞানী হওয়ার কারণে, তার স্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সব সময় গবেষণার উপরে জোর দেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
০৯ মে,বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি-সাপ্তাহিক গণবাংলা” এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিজ্ঞানমনস্কতা। ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞানী হওয়ার কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনাও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠেছেন। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সব সময় গবেষণার উপরে জোর দেন।
হাসান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবার বিজ্ঞানমনস্ক। এর পেছনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় ভূমিকা ছিল। সে কারণেই সজীব ওয়াজেদ জয় আজকে আইসিটি বিশেষজ্ঞ। তার ধারণাতেই বাংলাদেশ আজকে আইসিটিতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ৭৫-এর পরে শেখ রেহানা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগলে রাখার ক্ষেত্রে তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় অসীম সাহস এবং ধৈর্য না থাকলে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে আগলে রাখা এত সহজ হতো না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড.ওয়াজেদ মিয়া এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে, তারা তাদের সন্তানদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। এরপর সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মনোবিজ্ঞানের উপর পিএইচডি করেছেন। ওয়াজেদ মিয়া এবং শেখ হাসিনা তাদের সন্তানেরদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণেই এতকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্য বক্তারা বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একজন অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বীজ বপন করেছেন ওয়াজেদ মিয়া। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।
“কুষ্টিয়া এবং পাবনা জেলার সংযোগ দুই সেতু পাকশি ও লালন শাহ তার পাশেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ তারই যোগ্য নিদর্শন।” তার চিন্তা চেতনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আ.লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, আ.লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম , বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সম্মানিত চেয়ারম্যান সুমন সরদার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক এম এ বাশার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সম্মানিত উপদেষ্টা লায়ন ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম, হিউম্যান এইড ইন্টান্যাশনাল এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কো’চেয়ারম্যান সেহে্লি পারভীন সহ প্রমুখ।