ফরিদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৪৪ বার পড়া হয়েছে
সুলতানা আক্তার
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
আজ ১৪ই ডিসেম্বর। মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আজকের এই দিনে হত্যা করা হয়েছিলো বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের। একটি দেশের প্রধান অস্ত্র হলো লাইব্রেরি, তথা মেধা। তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও পৃথিবীর বুকে যেনো মাথাতুলে না দারাতে পারে তারই প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে শত্রুরা পরিকল্পনা করে ১৪ ই ডিসেম্বর আজকের এইদিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবীদের নির্মম ভাবে হত্যা করে। যেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক,ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ নামের একটি ভূখন্ড পেয়েছি।
ফরিদপুরে স্টেডিয়ামের পাশে গণকবরে সকাল ১০ঘটিকায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিস্তম্বে গভীর শ্রদ্ধা, পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তিতে দোয়া করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার পি এ এ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী। এরপর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জনাব মোঃ ইয়াসিন কবির এর সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল আহসান তালুকদার । বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ ঘোষাল,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল ফয়েজ ,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, এডিসি জেনারেল ইয়াসিন কবির, ভোক্তা অধিদপ্তরের এডি সোহেল শেখ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের যে অবদান ও আত্মত্যাগ তা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ বলেন, ফরিদপুরে যে ৪৩ জন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ইতিহাসে এমন নির্মম রক্তখয়ি নাশকতা আর কোথাও দেখা যায় নি যেখানে ছাত্র তার শিক্ষক কে হত্যা করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলেধরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের যে অবদান ও আত্মত্যাগ তা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এ সময় মেধাবী ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন-
জাতির মহান সন্তানেরা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের যে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ দিয়ে গেছেন তার অক্ষুণ্ণতা রক্ষা ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। কতিপয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সব সময়ই দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা ও শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে,আমাদেরকে এই সব অপ শক্তির হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাচাঁতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরতে হবে।
সবশেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামের পিছনে গণকবরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিস্তম্বে ক্যান্ডেল জালিয়ে তাঁদের প্রতি পুনরায় গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।