পুলিশ হেফাজতে টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলাম

- আপডেট সময় : ১১:৩২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর প্রতিনিধি
কারখানা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন না দেওয়ার শ্রমিকরা গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলামকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, টিএন্ডজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলামকে আটক করা হয়নি। তিনি থানায় বসে শ্রমিক প্রতিনিধি, কলকারখানা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, গাজীপুরে টিএন্ডজেড গ্রুপের ৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এদের মধ্যে কোনো কারখানা শ্রমিকরা গত জানুয়ারি মাস থেকে আবার অনেকে গত দুইমাস বা একমাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে বেতন ভাতা দাবি করে আসছে। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসসহ অন্যান্য দাবিতে রাজধানীর শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
বকেয়া বেতন-বোনাস ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দিনের মতো শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা। শ্রম ভবনের সামনে কয়েকশ পোশাক শ্রমিক অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী। অনেকেই হাতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড রয়েছে। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, কারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উত্তরার কোনো এক স্থান থেকে টিএন্ডজেড গ্রুপের পরিচালক শরিফুল ইসলামকে আটক করে। পরে শ্রমিকরা তাকে ধরে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর টিএন্ডজেড গ্রুপের বেসিক ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাকে আটকে নানাভাবে বেতনের জন্য শ্রমিকরা চাপ দেয়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে রাত ২টার দিকে উদ্ধার করে। তিনি ওই সময় অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বসে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বসে শ্রমিক পাওয়ার বেশ কিছু টাকার ব্যবস্থাও করেছেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি গাছা থানায় রয়েছেন। সেখানে বসে শ্রমিকদের পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে কারখানা পরিচালক বেশ কিছু টাকার ব্যবস্থাও করেছেন বলে জানতে পেরেছি।