ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের অস্ত্রের যোগান দাতা আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩ ২২৪ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুল ইসলাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবান জেলার নাইক্ষাংছড়ি থেকে অস্ত্রের যোগান দাতা অস্ত্র সহ আটক।

বিস্তারিত তথ্য মতে জানাযায় বান্দরবান জেলার
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া গ্রুপের কাছে অস্ত্রের যোগানদাতা গোষ্ঠীর প্রধানসহ ৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া (জঙ্গি) গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহকারী দলের প্রধানসসহ ৩ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র মতে, গত ৭ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বোমাংখিল এলাকা থেকে নাদেরুজ্জামানের ছেলে কবীর আহমদকে (৪৫) আটক করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৪টার দিকে সিটিটিসি ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরানের নেতৃত্বে একটি টিম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগলখাইয়ার রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ সময় আরো ২ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন মো. আলম ডাকাত ও নুরুল আবছার। তারা গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সরমঞ্জামের মধ্যে ছিল ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্ধুক, ১০ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি, ৪ লিটার এসিড, ২৫০ গ্রাম গান পাউডার, ৩ লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচ বঙ, ২ কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ১ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ১টি করাত, ১টি কার ব্যাটারি, ২০ পিস টি শার্ট, ১২ পিস মাঙ্কি টুপি, ১২ পিস সুপার গ্লু প্রভৃতি।

সিটিটিসি প্রধান জানান, এই বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সিটিটিসির পক্ষ থেকে পুলিশ চাইলে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানাননি। কোনো অভিযোগ বা মামলাও করেনি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের অস্ত্রের যোগান দাতা আটক

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

 

কামরুল ইসলাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবান জেলার নাইক্ষাংছড়ি থেকে অস্ত্রের যোগান দাতা অস্ত্র সহ আটক।

বিস্তারিত তথ্য মতে জানাযায় বান্দরবান জেলার
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া গ্রুপের কাছে অস্ত্রের যোগানদাতা গোষ্ঠীর প্রধানসহ ৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া (জঙ্গি) গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহকারী দলের প্রধানসসহ ৩ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র মতে, গত ৭ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বোমাংখিল এলাকা থেকে নাদেরুজ্জামানের ছেলে কবীর আহমদকে (৪৫) আটক করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৪টার দিকে সিটিটিসি ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরানের নেতৃত্বে একটি টিম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগলখাইয়ার রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ সময় আরো ২ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন মো. আলম ডাকাত ও নুরুল আবছার। তারা গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সরমঞ্জামের মধ্যে ছিল ৩টি দেশীয় পিস্তল, ৬টি একনলা বন্ধুক, ১০ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি, ৪ লিটার এসিড, ২৫০ গ্রাম গান পাউডার, ৩ লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচ বঙ, ২ কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ১ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ১টি করাত, ১টি কার ব্যাটারি, ২০ পিস টি শার্ট, ১২ পিস মাঙ্কি টুপি, ১২ পিস সুপার গ্লু প্রভৃতি।

সিটিটিসি প্রধান জানান, এই বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সিটিটিসির পক্ষ থেকে পুলিশ চাইলে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানাননি। কোনো অভিযোগ বা মামলাও করেনি।

শেয়ার করুন