স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি পদ প্রার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ আল আমিন ইসলাম শরিফ এর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
মোঃ আল আমিন ইসলাম শরিফ রামেকের ৫৮ ব্যাচ ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সে নভেম্বর ২০২১ এর চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে 'জুন ২০২২ - জুন ২০২৩' পর্যন্ত এক বছর ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করে। ফলে বর্তমানে তার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রত্ত্ব নেই। সে ২০২২ সালে রামেক ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ সভাপতি পদ প্রাপ্ত হয়।

অপরদিকে সে সহ সভাপতি হওয়ার ৮ মাসের ভেতর তার নামে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ পাওয়া যায়। সে রামেকের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক ভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং পরবর্তীতে ছাত্রী টি শারীরিকভাবে অসুস্থতা নিয়ে গত ২৭ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ৩ নাম্বার ইউনিটের ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি হলে জানা যায় সে অন্তঃসত্ত্বা। এটি জানার পর শরিফয় জোর পূর্বক মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের র‍্যাগ দেওয়া থেকে শুরু করে অসৎ উপায়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছে জোরপূর্বক চড়া দামে কংকাল(Bones) বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে সে কঙ্কালের ব্যবসা করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষার্থীরা জানায় এমন নেতৃত্ব মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগে আসলে ভবিষ্যতে তারা হবে শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি স্বরূপ। বর্তমান ছাত্রলীগ স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগে বিতর্কমুক্ত একজন সৎ ও শিক্ষার্থীবান্ধব নেতৃত্ব উপহার দেবে বলেই সকলের প্রত্যাশা। এবিষয়ে সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আল-আমিন ইসলাম শরিফ কে ফোন দিলে তিনি বলেন এগুলো সব মিথ্যে ও বানোয়াট আমার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিক পালন তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।