নাচোল উপজেলার ২ নং ফতেপুরের মল্লিকপুরে বিজয় দিবসের অনু্ষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে দুই কিশোর নিহত, আহত ৪
- আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুরে বিজয় দিবসের পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে দুই কিশোর দলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে মারামারির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন, আরমান, রজব ও ইমন নামে ৪জন আহত হয়েছে। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে নাচোল উপজেলার মল্লিকপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খোলসী গ্রামের মৃত এজাবুলের ছেলে মাসুদ (১৭) ও একই ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান (১৬)।
নিহত মাসুদ ও রায়হানের পরিবার জানায়, কি কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহাদ আকিদ রেহমান জানান, আমাদের কাছে আসার পূর্বেই মাসুদ ও রায়হান মারা যায়। ইসিজি করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আহত দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করা হয়েছে। তবে আহত কিশোর সুমনের উদ্ধৃতি দিয়ে ডা. ফাহাদ আকিদ রেহমান আরও জানান, তাদের মদ খাইয়ে কোন একটা পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাদের মারা হয়েছে। প্রকৃত কারণ তদন্তের জানা যাবে বলে জানান তিনি।
নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে বিজয় দিবসের পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে দুই দল কিশোরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানস্থলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন তাদের থামিয়ে দেয়। পরে তারা অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
ঘটনার পর থেকেই ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। দুই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।