ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে-ইনু

এবিসি ন্যাশনাল ডেক্স নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে-ইনু

প্রশাসনে থাকা জিন-ভূতদের শায়েস্তা করতে হবে : ইনু

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যারা ভাঙবেন আমি মনে করি তাদের ভেতরেই জিন-ভূত আছে। প্রশাসনের মধ্যে থাকা এই জিন-ভূতদের শায়েস্তা করতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো প্রশাসনের মধ্যে যারা জিন-ভূত আছে বা অসৎ আমলা আছে তাদের শায়েস্তা করার উদ্যোগ নিন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা আছে সুতরাং তারা ঘর কাটা ইঁদুর, তাদের থেকে সতর্ক হোন এবং আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পারবেন সমাধান করতে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত জাসদ নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গার স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, অর্থনৈতিক পরিচালনা কিছু ভুলত্রুটি একটা কারণ। আরেকটা কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং দুর্নীতি। এই দুইটা কারণে দ্রব্যমূল্যের বাজার উঠানামা করছে। আমি মনে করি এ দুটি কারণ আমাদের আয়ত্বের ভেতরে আছে, এখন সমাধান জরুরি। সুতরাং ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং সিন্ডিকেট ভাঙা হবে। অসৎ রাজনীতি, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা, এদের নিয়ে যে সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেট হচ্ছে দুর্নীতির মহাদানব। এই দানবদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের যে আমদানিকারক পাঁচ-ছয়টা বড় কোম্পানি আছে, যারা আমদানি করছে তাদের যে সিন্ডিকেট সেটাও ভেঙে দেওয়া গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি আড়তেও অভিযান চালানো দরকার। অভিযানে বড়দের গলায় গামছা দিয়ে হাজতে নিয়ে যান, বাজারটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। যে অভিযান চলছে তার পাশাপাশি যেসব ভুলত্রুটি আছে তার সংশোধন করে সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে পদক্ষেপ নিলে বাজারে ১৫ দিনে একটা স্বস্তির ভাব ফিরে আসবে। শুধুমাত্র বাজারে অভিযান চালালেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।

ইফতারে খেঁজুরের পরিবর্তে বরই খাওয়ার ব্যাপারে সরকারে থাকা এক মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি তাদের বলতে চাই- আপনি কোনো বিষয়ে সমস্যার সমাধান দেবেন, বিকল্প খাওয়ার প্রস্তাব দেবেন না। এটা হচ্ছে জনগণের সাথে ঠাট্টা মশকরা এবং জনগণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়া। সুতরাং সমাধান দিন, সমাধান না দিতে পারলে জিহ্বা সংযত রাখুন, আবোল তাবোল বকবেন না।

জাসদ নেতা আরও বলেন, একদিকে বাজারে অভিযান আরেক দিকে অর্থনৈতিক কিছু সিদ্ধান্তের ভুলত্রুটি। এসব সংশোধন করে সমন্বিত পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কয়েকটি বক্তব্যে আমি আশার আলো দেখছি, উনি পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছেন এবং কোথায় আঘাত করতে হবে সেটা বুঝতে পারছেন। আমি আবার পরামর্শ দিব লেজে বাড়ি মারবেন না, মাথায় বাড়ি মারেন।

এফএইচ

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে-ইনু

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে-ইনু

প্রশাসনে থাকা জিন-ভূতদের শায়েস্তা করতে হবে : ইনু

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে প্রশাসনের মধ্যে থাকা জিন-ভূতদের শাস্তেয়া করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যারা ভাঙবেন আমি মনে করি তাদের ভেতরেই জিন-ভূত আছে। প্রশাসনের মধ্যে থাকা এই জিন-ভূতদের শায়েস্তা করতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলবো প্রশাসনের মধ্যে যারা জিন-ভূত আছে বা অসৎ আমলা আছে তাদের শায়েস্তা করার উদ্যোগ নিন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা আছে সুতরাং তারা ঘর কাটা ইঁদুর, তাদের থেকে সতর্ক হোন এবং আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পারবেন সমাধান করতে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত জাসদ নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গার স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, অর্থনৈতিক পরিচালনা কিছু ভুলত্রুটি একটা কারণ। আরেকটা কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং দুর্নীতি। এই দুইটা কারণে দ্রব্যমূল্যের বাজার উঠানামা করছে। আমি মনে করি এ দুটি কারণ আমাদের আয়ত্বের ভেতরে আছে, এখন সমাধান জরুরি। সুতরাং ব্যবসায়ীদের কারসাজি এবং সিন্ডিকেট ভাঙা হবে। অসৎ রাজনীতি, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা, এদের নিয়ে যে সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেট হচ্ছে দুর্নীতির মহাদানব। এই দানবদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের যে আমদানিকারক পাঁচ-ছয়টা বড় কোম্পানি আছে, যারা আমদানি করছে তাদের যে সিন্ডিকেট সেটাও ভেঙে দেওয়া গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি আড়তেও অভিযান চালানো দরকার। অভিযানে বড়দের গলায় গামছা দিয়ে হাজতে নিয়ে যান, বাজারটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। যে অভিযান চলছে তার পাশাপাশি যেসব ভুলত্রুটি আছে তার সংশোধন করে সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে পদক্ষেপ নিলে বাজারে ১৫ দিনে একটা স্বস্তির ভাব ফিরে আসবে। শুধুমাত্র বাজারে অভিযান চালালেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না।

ইফতারে খেঁজুরের পরিবর্তে বরই খাওয়ার ব্যাপারে সরকারে থাকা এক মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি তাদের বলতে চাই- আপনি কোনো বিষয়ে সমস্যার সমাধান দেবেন, বিকল্প খাওয়ার প্রস্তাব দেবেন না। এটা হচ্ছে জনগণের সাথে ঠাট্টা মশকরা এবং জনগণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়া। সুতরাং সমাধান দিন, সমাধান না দিতে পারলে জিহ্বা সংযত রাখুন, আবোল তাবোল বকবেন না।

জাসদ নেতা আরও বলেন, একদিকে বাজারে অভিযান আরেক দিকে অর্থনৈতিক কিছু সিদ্ধান্তের ভুলত্রুটি। এসব সংশোধন করে সমন্বিত পদক্ষেপে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কয়েকটি বক্তব্যে আমি আশার আলো দেখছি, উনি পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছেন এবং কোথায় আঘাত করতে হবে সেটা বুঝতে পারছেন। আমি আবার পরামর্শ দিব লেজে বাড়ি মারবেন না, মাথায় বাড়ি মারেন।

এফএইচ

শেয়ার করুন