তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন- ২০২৩!
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন- ২০২৩!
তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতি নির্বাচন। ২৫ শে নভেম্বর ২০২৩ ইং রোজ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
যেখানে প্রতিদ্বন্দিতা করছে জিল্লু-সামাদ পরিষদ,যে পরিষদে ১৯ জন বিভিন্ন পদে পূর্ণ প্যানেল দিয়েছেন। গত ২২-১১-২০২৩ ইং তারিখে রাওয়া ক্লাব ডি ও এইচ এস মহাখালী ঠিকাদারদের নিয়ে ঢাকাতে জিল্লু -সামাদ পরিষদ বিশাল সমাবেশ করেছেন। যেখানে প্রায় দুই শত পঞ্চাশ জনের বেশি ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এম এ সামাদ আকন্দ তাদের প্যানেলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহার গঠনমূলক পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ –
সম্মানিত ঠিকাদারবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতি রেজিঃ নং-বি- ১৮২৩, নির্বাচন/২০২৩ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আপনাদের সমর্থন ও দোয়ায় আমরা “জিল্লু-সামাদ পরিষদ” গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি কোং লিঃ-এর তালিকাভূক্ত ১.১, ১.২, ১.৩ ও ১.৪ শ্রেণীর সকল ঠিকাদারগণকে আমরা সমমর্যাদায় বিবেচনা করি। দুঃখের বিষয় গ্যাস সংকটের কারণে সরকার বিগত প্রায় ৯ বছর যাবৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ স্থগিত রেখেছেন। ফলে সকল ঠিকাদারের আয়-রোজগার দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকল ঠিকাদার বিশেষ করে ১.১ ও ১.২ শ্রেণীর ঠিকাদারগণ আয়-রোজগারবিহীন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে আমাদের ইশতেহারে নিম্নলিখিত কার্যক্রমের পরিকল্পনা করেছি। আপনাদের দোয়া ও ভোটের সমর্থনে আমরা “জিল্লু-সামাদ পরিষদ” নির্বাচিত হলে নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করব “ইনশাআল্লাহ”।
নির্বাচনী ইশতেহারের কার্যক্রমঃ-
১। স্থগিত আবাসিক গ্যাস সংযোগ পূনঃ চালু করণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।
২। জোনাল/আঞ্চলিক উপ-কমিটি গঠণ করে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
৩। সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হবে, বিশেষ প্রয়োজনে যে কোন সময়ে কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৪। সততা ও নিষ্ঠার সাথে সমিতি পরিচালনার লক্ষ্যে এবং সমিতির আয়-ব্যয় হিসাবের স্বচ্ছতার জন্য সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সকল ধরনের লেনদেন এবং সমিতির সকল আয়-ব্যয় ক্যাশ রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করে সংরক্ষণ করা হবে। বার্ষিক আয়-ব্যয় নিরীক্ষার জন্য একটি উপ-কমিটি গঠণ করা হবে। নিরীক্ষিত
(অডিটেড) প্রতিবেদন সমিতির কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হবে।
৫। প্রতি বছর বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে সমিতির নিরীক্ষিত আয় ও ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হবে এবং বিশেষ প্রয়োজনে যে কোন সময় বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করা হবে।
৬। প্রতি বছর সকল ঠিকাদারগণের সমন্বয়ে বনভোজন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং প্রতি রমজান মাসে দোয়া মাহফিল ও ইফতারের আয়োজন করা হবে।৭। সমিতির ঠিকাদারগণের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি অথবা উদ্ভুত কোন সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮। সমিতিতে একটি দরিদ্র তহবিল গঠণ করা হবে। উক্ত তহবিলের টাকা সদস্যগণের নিকট হতে সময় সময় অনুদান হিসাবে গ্রহণ করে একটি পৃথক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ, অসহায় ও অসুস্থ ঠিকাদারদের যথাসম্ভব চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
৯। ঠিকাদারগণের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার লক্ষ্যে কাওরান বাজার এলাকায় সমিতির প্রধান কার্যালয় অস্থায়ী ভিত্তিতে ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সকল ঠিকাদারগণের সহযোগিতায় সমিতির স্থায়ী কার্যালয় গড়ার/বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। তদুপরি, অফিস চলাকালীন সময়ে ঠিকাদারগনের বসার জন্য তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে একটি কক্ষ বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
১০। তিতাস গ্যাস কোম্পানির ঠিকাদার তালিকাভুক্তি তফসীলের শর্ত ব্যতিরেকে অহেতুক কোন ঠিকাদার-কে কোম্পানীর কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্তৃক জটিলতার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- ১১। সমিতির গঠনতন্ত্র প্রয়োজনে সংশোধন/সংযোজন/বিয়োজন করে উপধারার বিধান রেখে সময়োপযোগী করা হবে।
১২। চলতি কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই পরবর্তী মেয়াদে নির্বাচনের জন্য চলতি কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
১৩। পরিষদের ১৯ টি পদের সকল সদস্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিডারশীপ-এর উপর নির্ভর করে সংগঠন কিভাবে চলবে। বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি আজীবন উক্ত পদে নির্বাচন তথা নির্বাচিত হতে পারবেন বিধায় নতুন নেতৃত্ব/নেতা তৈরী হচ্ছে না। তাই “জিল্লু-সামাদ পরিষদ” মনে করে উক্ত ২ (দুই) টি পদে সর্বোচ্চ ২ (দুই) বার নির্বাচনের মাধ্যমে আশিন হতে পারবেন। গঠনতন্ত্র বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) এর মাধ্যমে সংশোধন করা হবে।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেছেনঃ-
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাহাদের সাথে, যাহারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যাহারা সৎ কর্মশীল”।
(সূরা আন-নাহাল, আয়াত-১২১৮)
আপনাদের দোয়া ও সমর্থন প্রার্থনা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমরা জানি, ভোট একটি পবিত্র আমানত। তাই আশাকরি আপনার মহামূল্যবান একটি ভোট আমাদের “জিল্লু-সামাদ পরিষদ” এর পক্ষে (সকল প্রার্থীকে) দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দিন, আমিন।
পরিশেষে সভাপতি পদপ্রার্থী মোজাম্মেল হক জিল্লু তাহার বক্তব্যে তিনি ঠিকাদারদের সুখে দুখে পাশে থাকবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পূর্ণ প্যানেলকে ভোট দেওয়ার জন্য ঠিকাদারদের আহবান জানান এবং সকলের মঙ্গল কামনা করেন।